সম্পর্কের টানাপোড়েনে ছেড়ে চলে গিয়েছে স্ত্রী-সন্তান

গলায় ছুরি ঠেকিয়ে বিধবাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার

    খায়রুল  আনাম

একের পর এক মহিলা সম্পর্কিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমের পাইকর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার সাবির হোসেন আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। এবার গ্রেপ্তার হলেন রাতে স্থানীয় এক বিধবা মহিলার মাটির কোটা ঘরে ঢুকে তাঁর গলায় ছুরি ধরে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বলপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং জানিয়েছেন, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে ‘ডি-মোবিলাইজশন’ বা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁর বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার ৫ নভেম্বর ধৃত সাবির হোসেনকে রামপুরহাট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাঁকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর ওই বিধবা মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
এক সন্তানের মা ওই বিধবা মহিলা পাইকর থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানান যে, কয়েকদিন আগে তাঁর মোবাইল ফোনটি চুরি হলে তিনি পাইকর থানায় যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাতে, তিনি তাঁর মোবাইল ফোন চুরির ঘটনার সঙ্গে সাবির হোসেন যুক্ত বলে উল্লেখ করেন। এই অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য সাবির হোসেন তাঁর উপরে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তিনি তাতে সম্মত না হওয়াতেই তাঁকে ধর্ষণ করে। ওই সময় বাড়ীরই একটি ঘরে তাঁর ছেলে শুয়ে ছিলো। তাঁর চিৎকারে ছেলে ছুটে এলে সাবির হোসেন তাঁকে ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করে। তখনই প্রতিবেশী অনেকেই ছুটে এসে অভিযুক্ত সাবির হোসেনকে পাকড়াও করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন। পাইকর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনাসূত্রে জানা গিয়েছে যে, ওই বিধবা মহিলার সঙ্গে সাবির হোসেনের দীর্ঘদিন ধরেই গভীর সম্পর্ক ছিলো। বছর ছয়েক আগে সেই সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দেওয়ার ফলে একবার ওই মহিলা সাবির হোসেনের নামে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার পরে, পুলিশ সাবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার জেরে সাবির হোসেনের স্ত্রী ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ীতে চলে যান। তিনি আর ফিরে আসেননি। এক মাস জেল খাটার পরে সাবির হোসেন জামিনে বেরিয়ে আসার পরে, গ্রামবাসীদের মধ্যস্থতায় ওই মহিলা সাবির হোসেনের নামে আনা ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে যাওয়ায় সাবির হোসেন পুনরায় ওই বিধবা মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করার চেষ্টা করছিলেন বলেও অনেকেই মনে করেন। তারপরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।।

Leave a Reply