বেঙ্গল মাইনরিটি ফোরামের অভিনব উদ্যোগ — মক ইন্টারভিউ প্রোগ্রামে পরীক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস

পারিজাত মোল্লা,

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রার্থীদের আত্মবিশ্বাস ও উপস্থাপন দক্ষতা বাড়াতে বেঙ্গল মাইনরিটি ফোরাম (BMF) আয়োজন করল ‘মক ইন্টারভিউ প্রোগ্রাম’। ১৯ অক্টোবর বারাসাত এসএসআইটি কলেজে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (TET) শিক্ষার্থীরা।প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের বাস্তব ইন্টারভিউর অভিজ্ঞতা দেওয়া, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা এবং উপস্থাপন দক্ষতা উন্নত করা। অংশগ্রহণকারীরা মক ইন্টারভিউ বোর্ডের নিজেদের ভাষা, দেহভঙ্গি, আচরণ ও আত্মবিশ্বাস যাচাই করার সুযোগ পান। অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্রত্যেক প্রার্থীর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেন এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য মূল্যবান পরামর্শ দেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সেখ কামালউদ্দিন, ড. আজিজার রহমান (ডেপুটি সেক্রেটারি, মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর), আবেদীন হক আদি (বিশিষ্ট শিক্ষক ও মোটিভেটর),, সেখ মইনুল হক (সভাপতি, বি.এম.এফ), সিয়ামত আলি (সাধারণ সম্পাদক,বি.এম.এফ), আবু সিদ্দিক খান, সেখ ফিরোজউদ্দিন (সহ সম্পাদক), হাবিব আজম (সহ সভাপতি), হাবিবুর রহমান গাজী (সভাপতি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি), আকবর আলি বিশ্বাস (সম্পাদক, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি), সুজাউদ্দিন মন্ডল, মহাসিন ঢালী এবং জনাব আরিজুল ইসলাম সাহেব, নিজামুদ্দিন, আশিকুর রহমান , মারুফ আহমেদ প্রমুখ।
সভাপতি সেখ মইনুল হক বলেন,“মক ইন্টারভিউ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। এটি তাদের মূল ইন্টারভিউতে সঠিক দিশা দেখাবে।”সাধারণ সম্পাদক সিয়ামত আলি জানান, “শিক্ষক নিয়োগ ও অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আমাদের এই উদ্দ্যেগ জারি থাকবে”।মোটিভেটর আবেদীন হক আদি শিক্ষার্থীদের দেহভঙ্গি, আত্মপ্রকাশ, যোগাযোগ দক্ষতা এবং লক্ষ্যপূরণের মনোভাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন ও মোটিভেট করেন। এছাড়াও সংগঠনের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা চাকরি প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সহ-সম্পাদক শেখ ফিরোজউদ্দিন, আবু সিদ্দিক খান জানান যে, আগামী দিনে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)-এর পরীক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ মক ইন্টারভিউ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হবে, যার দিনক্ষণ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।বেঙ্গল মাইনরিটি ফোরামের এই উদ্যোগ শুধু একটি প্রশিক্ষণ নয়। এটি সমাজের প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী, দক্ষ এবং নেতৃত্বগুণসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার এক প্রশংসনীয় সামাজিক উদ্যোগ। উপস্থিত অতিথি ও সংগঠকরা মনে করছেন, এর ফলাফলের প্রভাব ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি হবে।

Leave a Reply