তোলাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ অফিসার সাসপেন্ড বীরভূম জেলায়
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
জেলার পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি মালিকদের ক্ষোভ বাড়ছিল। এবার জেলা ট্রাক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সোচ্চার হয়ে ওঠে। পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেন মোবাইলে ভিডিও করে রাখা প্রমাণ সহকারে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাক মালিক আনাস আহমেদ মহম্মদবাজার থানার দুই পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। ভিডিও র মধ্যে এক পুলিশ অফিসারকে টাকা গুণতে যায় ৷ তোলাবাজির অভিযোগ পাওয়া মাত্রই উক্ত দুই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেন জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং । পাশাপাশি বীরভূম জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজেও সাসপেন্ড জনিত সিদ্ধান্তের কথা পোস্টও করা হয়েছে । সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগ পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্ত ও শুরু হয়েছে। এদিকে বীরভূম জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আনাস আহমেদ বলেন, “পুলিশের তোলাবাজি, জুলুমের শিকার হচ্ছে ট্রাক মালিকরা ৷ তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে ট্রাক মালিকরা। এর প্রতিকার চাই ৷ ব্যবস্থা না হলে ধর্মঘটের পথে যাব । ঘটনার সূত্রপাত দু’টি বালি বোঝাই ট্রাক আটক করে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ ৷ ট্রাকগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য গাড়ি প্রতি সত্তর হাজার টাকা করে দাবি করে বসেন । জানা যায়
গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর ট্রাক মালিক এমদাদুল হোসেনের দু’টি ট্রাক তালবাঁধ এলাকা থেকে বালি ভর্তি অবস্থায় মল্লারপুরের মদিয়ান এলাকায় যাবার পথে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ গাড়ী দুটি আটক করে ৷ এরপর স্থানীয় থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম ও এএসআই কিরণ মণ্ডল ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন বলে ট্রাক মালিকের অভিযোগ।
পুলিশের তোলাবাজির অভিযোগ পেয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং অভিযুক্ত দুই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেন ৷ পাশাপাশি, বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।