অ্যাকশন টেসা উদযাপন করল জাতীয় কার্পেন্টার দিবস

কবিরুল ইসলাম,

কাঠের আসবাব শিল্পের মেরুদণ্ডকে সম্মান জানিয়ে
এই উদ্যোগ ঘর ও কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার কারিগরির স্বীকৃতি দেয়।দেশের বৃহত্তম প্রকৌশল কাঠের প্যানেল প্রস্তুতকারক এবং এই খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন টেসা পরপর দ্বিতীয় বছরে জাতীয় কার্পেন্টার দিবস উদযাপন করল। কাঠের আসবাব শিল্পের অবহেলিত কিন্তু অপরিহার্য নায়কদের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনরায় দৃঢ় করল এই উদ্যোগ।
গত বছরের সফল সূচনার পর, এ বছরের জাতীয় কার্পেন্টার দিবস সারা দেশের ৫০ টিরও বেশি স্থানে ‘মেগা মিট’-এর মাধ্যমে পালিত হয়। হাজার হাজার কাঠমিস্ত্রি সেখানে একত্রিত হয়ে শিখলেন, যুক্ত হলেন এবং উদযাপন করলেন। সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক মুহূর্ত ছিল অজয় দেবগনের শক্তিশালী উদ্বোধনী বক্তব্য, যেখানে তিনি আমাদের জীবনকে উন্নত করার নেপথ্য ভূমিকার জন্য কাঠমিস্ত্রিদের স্যালুট জানান।
প্রথম বছরের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে চালু হওয়া উড প্যানেল প্রসেসিং টেকনিকস (ডাবলিউপিপিটি) নামের তিন মাসব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, যা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের (এমএসএমই) সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে, এ পর্যন্ত ৩০ জন শিক্ষার্থীর শতভাগ চাকরির সুযোগ নিশ্চিত করেছে। কোর্স শেষ হওয়ার সাথে সাথেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। উচ্চমানের প্রশিক্ষণ ও শিল্পক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতার প্রমাণ এটি। অ্যাকশন টেসা সম্পূর্ণভাবে স্পনসর করা এই ডাবলিউপিপিটি কর্মসূচি নতুন কর্মজীবন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ খুলে দিচ্ছে।
এই উপলক্ষে, অ্যাকশন টেসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজয় আগরওয়াল বলেন, “কাঠমিস্ত্রিরাই কাঠের আসবাব বাজারের মেরুদণ্ড। তাঁদের হাতেই প্রতিটি স্বপ্নের রূপায়ণ ঘটে। টেসা সালাম ও ডাবলিউপিপিটি-র মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শুধু আজ তাঁদের সম্মান জানাচ্ছি না, আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তিও স্থাপন করছি। এটি কেবল শুরু—আগামী দিনে আমরা আরও সুযোগ তৈরি করতে চাই কাঠমিস্ত্রি ও তাঁদের পরিবারের জন্য।”

Leave a Reply