দুর্গাপূজা উপলক্ষে শান্তি কমিটির বৈঠক,খয়রাশোল থানায়
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
দিন কয়েক পরেই অনুষ্ঠিত হবে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। সে নিয়ে চারিদিকে সাজো সাজো রব। মন্ডপ থেকে প্রতিমা তৈরী সহ আনুসঙ্গিক কাজে ব্যতি ব্যস্ত সকলেই। এদিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমস্ত রকম ফাঁকফোকর মেরে ফেলছে। সেরূপ শনিবার জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও খয়রাশোল থানার ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় থানা এলাকার সমস্ত পুজো কমিটির সদস্য সহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের নিয়ে থানা চত্বরে শান্তি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপুজায় ডি জে বক্স না বাজানো,মদ্যপ অবস্থায় না থাকা,ইলেক্ট্রিসিটি ও ফায়ারের অনুমতি নেওয়া,মন্ডপে দিবারাত্রি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতি,পর্যাপ্ত আলো ও যাতায়াতের ব্যবস্থা,কোনোরকম উচ্ছৃঙ্খল আচরন না করা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে উপস্থিত সকলকে অবগত করলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। পাশাপাশি যে কোনোরকম প্রয়োজনে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে তারজন্য হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়। পুজোর দিনগুলো সকলেই মিলে মিশে আনন্দ উপভোগ করুন সেই বার্তা দেওয়া হয় এদিনের শান্তি কমিটির সভা থেকে। এদিন আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ডি এস পি ক্রাইম প্রতীক রায়, খয়রাসোল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ডক্টর সৌমেন্দু গাঙ্গুলী, দুবরাজপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর শুভাশীষ হালদার,খয়রাশোল থানার ও সি সেখ কাবুল আলি,ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৈয়দ সঞ্জয় হোসেন,দুবরাজপুর ফায়ার স্টেশন ও সি কৃষ্ণদয়াল বসু সহবহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। একান্ত সাক্ষাৎকারে খয়রাসোল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ডক্টর সৌমেন্দু গাঙ্গুলী বলেন আজকে মূলতঃ দুর্গাপুজা উপলক্ষে সরকারি যেসমস্ত নির্দেশিকা রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পুজা কমিটির সদস্যদের অবগত করা হয়। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, সকলেই মিলে মিশে পুজোর আনন্দ উপভোগ করা। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে দুর্গোৎসব পালন করা।কি কি করা যাবেনা সেসমস্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।