শারদ সৃজনী সম্মান ও খুশি উদ্যোগ : সৃজনশীলতা ও সহমর্মিতার উদ্‌যাপন এই দুর্গোৎসবে

পারিজাত মোল্লা,

দুর্গাপূজা, বাংলার সংস্কৃতির পরিচয়ের হৃদস্পন্দন, শুধুমাত্র একটি উৎসব নয় – এটি এক মহোৎসব, যেখানে একত্রিত হয় সমবেত সৃজনশীলতা, শিল্পকলার মহিমা এবং সামষ্টিক চেতনা। এই ভাবনাকেই স্বীকৃতি জানিয়ে, শারদ সৃজনী সম্মান অব্যাহত রেখেছে পূজা সৃজনশীলতায় শ্রেষ্ঠত্বকে সম্মান জানানোর যাত্রা এবং হাত মিলিয়েছে খুশি – এ হেল্পিং হ্যান্ড, যা সারা ভারতের যুবশক্তি গড়ে তোলা ও বঞ্চিত জীবনের পাশে দাঁড়ানোর এক আন্দোলন।

শারদ সৃজনী সম্মান : সৃজনশীলতায় শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি

২০১৩ সালে সূচনা থেকে শারদ সৃজনী সম্মান দুর্গোৎসবের শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানকে সম্মান জানিয়ে আসছে—অলঙ্কৃত প্যান্ডেল ও প্রতিমা, হৃদয়স্পর্শী সামাজিক বার্তা এবং সাংস্কৃতিক অভিনবত্ব থেকে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি বিভাগে এই সম্মান প্রদান করা হতো—শিল্পকলা, বার্তা, কনসেপ্ট, সামাজিক বার্তা এবং সামগ্রিক শ্রেষ্ঠত্ব। এবার থেকে যুক্ত হয়েছে আরও দুটি নতুন বিভাগ:

  • শারদ সৃজনী চিত্রলেখন শিল্পী (গ্রাফিক ডিজাইনার) – পূজা প্রচারণা নকশায় সৃজনশীলতার জন্য।
  • শারদ সৃজনী বিশেষ জুরি পুরস্কার – দুর্গোৎসবে চিরন্তন ভক্তি ও শিল্পকলাকে সম্মান জানাতে।

প্রথমবারের মতো এই সম্মানের দ্বার খুলছে আবাসিক কমপ্লেক্সগুলির জন্যও, যাতে হাউজিং সোসাইটির পূজাগুলো বৃহত্তর মঞ্চে তাদের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করতে পারে। ঐতিহ্যকে উদ্‌যাপনের পাশাপাশি আধুনিকতাকেও স্বাগত জানিয়ে, শারদ সৃজনী সম্মান রয়ে গেছে ভক্তি ও শিল্পকলার এক অনন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।

Leave a Reply