সমবায় ভোটার তালিকায় বাদ নাম, হাইকোর্টে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ২ মহিলার 

মোল্লা জসিমউদ্দিন

সমবায় ভোটার তালিকা থেকে নিজেদের নাম বাদ।  আতঙ্কে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল দুই মহিলা। তাও আবার একেবারে কলকাতা হাইকোর্টের ই গেটের সামনেই এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটাতে শুরু করেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা আদালত চত্বর জুড়ে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার আমগাছিয়ার বাসিন্দা দুই মহিলা হাইকোর্টের সামনে বোতলে করে কেরোসিন তেল নিয়ে এসে গায়ে ঢালেন। আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়।এই ঘটনায় মোট তিনজন মহিলা ছিলেন। তারা হলেন পূর্ণিমা হালদার, সুতিষ্ণা সাপুই, বন্দনা নস্কর। এদের বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার আমগাছিয়া কালিতলায়। তিনজন মহিলার মধ্যে দুজন কে পুলিশ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠায়।জানা গেছে, ওই মহিলারা আমগাছিয়া সৃষ্টি সংঘ প্রাথমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য। তাদের অভিযোগ ২০১৭ সালে ঐ কো – অপারেটিভ তৈরি হয়।২০২৫ সালে নির্বাচন হয় ঐ কো-অপারেটিভের। সেখান থেকে নাম্বার যায় ওই দুই মহিলার। এরপর তারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পুনরায় ভোটার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। কিন্তু অভিযোগ কো-অপারেটিভ সেটা মানছে ন। এছাড়াও অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে মোটা সুদের আশ্বাস দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করছে কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে ওই তিন মহিলা মঙ্গলবার বোতলে করে কেরোসিন তেল নিয়ে এসে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে গায়ে ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই কান্ড ঘটিয়ে ফেলেন দুই মহিলা। ওই মহিলাদের বক্তব্য “ইলেকশন প্রসেস শুরু হওয়ার আগেই দেখলাম আমাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে আমরা নমিনেশন ফাইল করতে পারবো না এইসবের জন্য আমরা আর সাফার করতে পারছি না। তাই আত্মহত্যা করার পথ বেছে নিয়েছি।”এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে ব্যস্ততার মধ্যে মানুষের ভিড়ে এই দুই মহিলা এই ধরনের কান্ড ঘটাবে তা পুলিশ থেকে আইনজীবী কেউই বুঝতে পারেন নি। আচমকাই তারা ব্যাগ থেকে কেরোসিন বোতল বার করে গায়ে ঢালতে শুরু করে। এই ঘটনা দেখে আদালত চত্বরে পুরোপুরি পড়ে যায় । আদালতের ভেতরে থাকা পুলিশ কর্মীরা ছুটে আসে তাদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ অফিসাররা এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনাকে ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টের বাইরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

Leave a Reply