৪৫ দিনের মধ্যে ফ্ল্যাট গ্রাহকের অর্থ ফিরিয়ে দিতে বললো রেরা
পারিজাত মোল্লা ,
যে বিষয়টি নিয়ে জেলা – রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ, বারাসাত আদালত এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট অবধি গিয়েছিল। সেই বিষয়টি যথার্থ সমাধান করলো রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনাল (রেরা) কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহ জমি মালিক – প্রমোটার – ফ্ল্যাট গ্রাহক ত্রিকোণ বিবাদের নিস্পত্তি ঘটালেন রেরার চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের নেতৃত্বধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। ৪৫ দিনের মধ্যে ফ্ল্যাট গ্রাহক কে ৯ লক্ষ টাকা ৫ হাজার ২৪ টাকা দিতে হবে প্রমোটার কে।এর পাশাপাশি ফ্ল্যাট গ্রাহক কে অসমাপ্ত ফ্লাটের দখল ছেড়ে দিতে হবে বলে আদেশনামায় জানানো হয়েছে । জানা গেছে, দমদমের ৫৮/৫৬ নং নগেন্দ্রনাথ রোডে অবস্থিত ৩ কাঠা ২ ছটাক জায়গা মালিক রেনুকা পাল প্রমোটার সচ্চিদানন্দ মিত্র কে এক চুক্তির মাধ্যমে আবাসন গড়তে দেন ২০০৪ সালে ৩১ মার্চ। এরপর ২০০৫ সালে ১৯ জুলাই শিবশঙ্কর কোলে ৯৪০ স্কোয়ার ফিট বিশিষ্ট ফ্ল্যাট বুকিং করেন।দু দফায় নির্ধারিত ৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা দেন। ২০০৬ সালে ৩ জুলাই অসমাপ্ত (সিড়ি / লিফট বিহীন) ফ্ল্যাটে আসেন শিবশঙ্কর কোলে।২০১১ সালে কনজুমার কমিশনে শিবশংকর যান।যথাযথ কাগজপত্র পাওয়ার জন্য ২০১৩ সালে ওই ফ্ল্যাট মালিক রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা যান।এরপর সুপ্রিম কোর্ট অবধি যান।২০১৬ সালে বারাসাত ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ প্রমোটার কে আপস চুক্তি করতে বলে। জায়গা মালিক রেণুকা পাল প্রমোটার সচ্চিদানন্দ মিত্রের সাথে চুক্তি করলেও কোন রেজিষ্ট্রি /পাওয়ার অফ এটনি না করায় সমস্যাটির যথাযথ আইনী সমাধান তখন ঘটেনি। তাছাড়া আবাসনের সিসি না থাকায় ফ্লাট গ্রাহক ভুগতে থাকেন। ওয়েষ্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটির কাছে শিবশঙ্কর কোলের আবেদন খারিজ হয়।এরপর রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হলে চলতি সপ্তাহে উক্ত ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ওই ফ্ল্যাট গ্রাহকের জমাকৃত টাকা, স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিষ্ট্রেশন ধরে সর্বমোট ৯ লাখ ৫ হাজার ২৪ টাকা প্রমোটার কে ৪৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেন।এর পাশাপাশি ওই ফ্ল্যাট গ্রাহক কে অসমাপ্ত ফ্লাটের দখল ছেড়ে দিতে বলে রেরা আপিলেট ট্রাইবুনাল।