আরজিকর কান্ডে ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযান নিয়ে আজ ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত মামলাটি গ্রহণ করলেন না সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। কারণ, নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত একটি মামলা ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। ফলে সিঙ্গল বেঞ্চে একই বিষয়ে পৃথক মামলা শুনতে অস্বীকার করেন বিচারপতি ।ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে রাজ্যের উচ্চ আদালতে জানানো হয়, -‘বছরভর নানা ইস্যুতে নবান্ন অভিযান ডাকা হয়। পুলিশি নির্দেশে অভিযানের দিন বাজার ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য হন তাঁরা। ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে সামনেই শারদীয়া উৎসব। পূজা মরশুমে ব্যবসা জমে ওঠে। কিন্তু এই সময় ফের নবান্ন অভিযানের ডাক পড়ায় আশঙ্কা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে’।সংগঠনের অভিযোগ, “নবান্ন অভিযান হলে গোটা এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, পুলিশ মার্কেট খুলতে দেয় না। এতে আমরা প্রতিদিনের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে পড়ি। জনজীবনও চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়।” তাই আদালতের কাছে তাঁদের আর্জি রয়েছে , -‘অবিলম্বে নবান্ন অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিক হাইকোর্ট’।তবে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জানান, -:যেহেতু একই ইস্যুতে একটি রিট পিটিশন ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন, তাই এই মামলাটি সিঙ্গেল বেঞ্চে গ্রহণ করা যাচ্ছে না’। আপাতত সেই মামলার শুনানির দিকেই তাকিয়ে হাওড়া মঙ্গলহাটের ব্যবসায়ীরা।উল্লেখ্য, আগেই এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ীরা।মামলাকারীদের বক্তব্য, -‘নবান্ন অভিযান হলে, সবক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয় যাঁরা রাস্তা বের হন তাঁদের। স্কুল ফেরত বাচ্চাদের অসুবিধা হয়, অফিসযাত্রীদেরও প্রচণ্ড ভোগান্তিতে পড়তে হ’য়। সেই কারণেই হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চে প্রথমে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি রয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর প্রথম বিরাট নাগরিক আন্দোলন হয়েছিল গতবছরের ১৪ অগাস্ট। বছর ঘুরতে গেল। এবার বিচার পাননি তিলোত্তমার বাবা-মা। ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে ৯ অগস্টই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। ইতিমধ্যেই দলীয় পতাকা ছেড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সেই অভিযানে সামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে যেহেতু রাজনৈতিক নেতারা থাকবেন, তাই সেই মিছিলে না হাঁটার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফন্ট’।আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে।