‘সিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত করছেনা’, পরেশ পালের জামিন মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়লো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইএর ভূমিকা। তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতি। উত্তর কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের নাম অভিযুক্তের তালিকায় হয়েছে। শুক্রবার পরেশ পালের আগাম জামিন মামলার শুনানিতে সিবিআই এর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট এর সিঙ্গেল বেঞ্চ ।রাজ্যের উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ -‘ তদন্তকারীরা সঠিকভাবে তদন্ত করছেন না’। এই মামলায় গত ২ জুলাই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই আদালতে। বিজেপি নেতাকে খুনের ঘটনায় নারকেলডাঙা থানার পুলিশ প্রথমে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে এই ঘটনা তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় আদালতে।তাতে ২০ জনের নাম অভিযুক্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করে সিবিআই। গত ২ জুলাই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়ে তাতে নামের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয় তৃণমূলের বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পৌরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) সদস্য স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের। শুক্রবার আদালতের প্রশ্নের উত্তরের সিবিআই আইনজীবী দাবি করেন -‘বিজেপি কর্মী কে খুনের দশ দিন আগে একটি সভায় পরেশ পাল হুমকি দিয়েছিলেন ‘দেখে নেব’। পাল্টা সিবিআইয়ের কাছে আদালত জানতে চায় সেই ভিডিও বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কেস ডাইরিতে অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা? কল রেকর্ড রয়েছে কিনা? এছাড়া আর কোন তথ্য প্রমাণ আছে কিনা সেটা আগামী শুনানির দিন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় হাইকোর্টের তরফে।আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ ও অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তর কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। অভিযোগ, তার গলায় তার পিছিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এই অভিযোগ করেছিলেন অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সদস্যরা। সেই খুনের ঘটনায় এদিন সিবিআই এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। সঠিকভাবে তদন্ত সিবিআই করছে না বলেও হাইকোর্টের বিচারপতি মন্তব্য করেন ।আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।