জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ কবে? রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিয়ে রিপোর্ট চাইলো। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল কবে? তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৭ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চের। রাজ্য এবং রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের রিপোর্ট তলব।এপ্রিল মাসে পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও ফলাফল না প্রকাশ করায় আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিভাবক। সেই মামলায় এই নির্দেশ দিতে গিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট।দ্রুত শুনানির আবেদন গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পালের বেঞ্চ মঙ্গলবার দুপুর দু’টোয় মামলার শুনানি করে। আদালত জানায়, -‘আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডকে রিপোর্ট দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে, কবে ফল প্রকাশ সম্ভব, এবং এই দেরীর কারণ কী। ‘দু’মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তারপরও ফল প্রকাশ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন লক্ষাধিক পড়ুয়া-অভিভাবক।পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, -‘ দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় কেন ফল প্রকাশ করা যাচ্ছে না, এই ব্যাপারে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে’।ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় বিভিন্ন পরীক্ষা জেইই মেন্স, জেইই অ্যাডভান্সড এবং নিট ইউজি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষার্থীদের এক অভিভাবক, মঙ্গলবার বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন। তাঁর আর্জি, -‘দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যের যৌথ প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বাংলার ছাত্রছাত্রীরা ফলাফলের অপেক্ষায়। ফলাফল প্রকাশে দেরির ফলে তাঁরা দেশের অন্যান্য রাজ্যের পড়ুয়াদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছেন।’দ্রুত শুনানির আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি সুজয় পালের বেঞ্চ মঙ্গলবার দুপুর দু’টোয় মামলার শুনানি করে। রাজ্যের উচ্চ আদালত জানায়, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডকে রিপোর্ট দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে, কবে ফল প্রকাশ সম্ভব, এবং এই দেরীর কারণ কী।শুনানির সময় বিচারপতি স্মিতা দাস স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনওভাবেই অবহেলা করা চলবে না। এই জিনিস বরদাস্ত করা হবে না।’