আদালত অবমাননা মামলায় হাজির মদন মিত্র,

চার মাসের মধ্য পরিবহন দপ্তর কে অবসরকালীন পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের এক আদালত অবমাননা মামলায় সশরীর হাজিরা দিলেন বিধায়ক মদন মিত্র।তিনি পরিবহন দপ্তরের চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন । সিএসটিসি-র অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া।ওই মামলায় আদালতের নির্দেশে এদিন হাজিরা দিতে হল পরিবহণ দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী তথা বর্তমান চেয়ারম্যান মদন মিত্রকে । অন্যান্যদের ছিলেন রাজ্যের অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র, সিএসটিসি-র চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ‘ প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, সে কারণেই হাজিরা চাওয়া হয়েছে। কর্মীরা কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য, কেউ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য টাকার আশায় বসে আছেন। এটা কোনও খেলা নয়। মাসিক বেতন থেকে এই টাকা কেটে নেওয়া হয় ভবিষ্যতের জন্য। অথচ বহু অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এখন বঞ্চিত।’আদালতে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত ১৭ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তাঁদের পাওনা টাকা পেয়েছেন। কিন্তু আরও ১৫০ জন আবেদনকারীর টাকা বাকি।বিচারপতি জানান , ‘আমি একাধিকবার সময় দিয়েছি। আর নয়। এ ভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। বাকি কর্মীরা যেন কোনও ভাবেই তাঁদের পাওনা থেকে বঞ্চিত না হন।’এদিন অর্থসচিব আদালতে জানান, ‘আমরা ট্রান্সপোর্ট দফতরকে টাকা দিয়ে দিয়েছি। ওরা এখন বিষয়টি দেখছে। ৪৫টি ট্রান্সপোর্ট দফতর দেখি। চিঠি লেখার পরেও কোনও সাড়া মেলেনি।’ এরপর বিচারপতির কড়া বার্তা, ‘ধরে নিন, আপনি একটি যৌথ পরিবারের কর্তা। সেখানে যদি কোনও সমস্যা হয়, প্রশ্ন তো আপনাকেই করা হবে। আপনি লিখে জানাতে পারতেন।’চার মাসের মধ্যে অর্থ দফতর এবং পরিবহণ দফতরকে একযোগে অবসরকালীন সুবিধা সংক্রান্ত বকেয়ার নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলায় মদন মিত্র-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন আদালতে হাজিরা দেন মদন মিত্র, রাজ্যের অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র এবং সিএসটিসি-র অন্যান্য আধিকারিকেরা। বিচারপতির কড়া বার্তা, ‘এটা শুধু হিসেবের বিষয় নয়, মানবিকতারও প্রশ্ন।’ এখন দেখার চারমাসের মধ্যে পরিবহন দপ্তর কি উদ্যোগ নেয়?

Leave a Reply