২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে দেরি কেন? জানতে চাইলো ডিভিশন বেঞ্চ
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি চলে। গত ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে হওয়া ২৫,৭৩৫টি শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশের পর কেটে গিয়েছে দু সপ্তাহ । কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই রায় বাস্তবায়িত হয়নি বলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছে ‘আদালত অবমাননার’ অভিযোগ।সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদি -র ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তোলা হয়–” কেন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের বেতন ফেরত নেওয়ার নির্দেশ কার্যকর হয়নি ? কেন এখনো সেই নামগুলো বেতন তালিকায় রয়ে গিয়েছে?” এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় -‘ আদালতের যে নির্দেশগুলি সুপ্রিম কোর্ট বদলায়নি, সেগুলি কার্যকর করতে এসএসসি ও পর্ষদ কী করছে, তা স্পষ্ট করতে হবে’। এক দিনের সময় দিয়ে বলা হয়েছে, বুধবারের মধ্যে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আদালতে জমা দিতে হবে।সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু এসএসসি বা পর্ষদ নয়, সিবিআই-এর বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত। আদালতের প্রশ্ন-যাঁরা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ এখনও কেন শুরু হয়নি? বিচারপতি বসাক বলেন, “কাদের ঘুষ দিলেন? কীভাবে চাকরি পেলেন? সেসব জানতেই তো নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।” সিবিআই-এর আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদীকে বলা হয়, পরবর্তী শুনানিতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখিতভাবে জমা দিতে হবে। দু সপ্তাহ আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট জানায় -‘২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল।’দাগি’ বা ‘টেন্টেড’ প্রার্থীদের বেতন ফেরত।ওএমআর শিট ও উত্তরপত্র প্রকাশ।’এসব নির্দেশ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বহাল থাকলেও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, এরফলে আদালত অবমাননার মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে এত কেন দেরি? আদালত অবমাননা মামলায় রাজ্যের ও পর্ষদের থেকে সেই জবাব চাইল হাইকোর্ট । কেন চিহ্নিত অযোগ্যদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? সিবিআই-এর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন আদালতের।আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।