দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির কলকাতা হাইকোর্টে বদলী নিয়ে ক্ষুব্ধ আইনজীবীদের প্রতিবাদ

মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট স্তব্ধ হয়ে গেল সিংহভাগ আইনজীবীদের প্রতিবাদে। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত স্তব্ধ রইল কলকাতা হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্ট থেকে বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মাকে কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরের প্রতিবাদে তিনটি আইনজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বার অ্যাসোসিয়েশন, বার লাইব্রেরি, ইন কর্পোরেট ল সোসাইটির পক্ষ থেকে বন্ধ রাখা হয় কাজ। স্তব্ধ থাকে হাইকোর্ট। ‘সন্দেহজনক বা স্বল্প মেয়াদের বিচারপতিদের ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না কলকাতা হাইকোর্টকে’। এই দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের তিনটি আইনজীবী সংগঠন চিঠি পাঠায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার কাছে। তারা দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দিনেশ কুমার শর্মাকে কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরের জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ পুনর্বিবেচনা ও প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি, বিচারপতি শর্মার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর এবং ৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টে পাঠানো ইমেলগুলিও সংযুক্ত করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, বার লাইব্রেরি ক্লাব এবং ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটির দু’পাতার চিঠিতে। আইনজীবী সংগঠনগুলির দাবি, -‘ বিচারপতি শর্মার প্রস্তাবিত স্থানান্তর ন্যায়বিচার প্রশাসনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিয়মিত স্থানান্তরের আওতায় পড়ে না। তাদের সন্দেহ, এই স্থানান্তরের পিছনে বিচারপতির কার্যপ্রণালী ও সততা সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ রয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ, বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিবরণ কেবল উদ্বেগজনকই নয় অত্যন্ত বিরক্তিকর। আইনজীবীরা মনে করেন, এই ধরনের স্থানান্তর কলকাতা হাইকোর্টের মর্যাদা ও সুনামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে’। আইনজীবী সংগঠনগুলির দাবি, -‘যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের সম্মান ও মর্যাদা বজায় রাখা তাদের সকলের দায়িত্ব, তাই যে বিচারপতি শর্মার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের আওতাধীন, কলকাতা হাইকোর্টের মতো একটি সম্মানিত প্রতিষ্ঠানে এমন বিচারপতির আগমন আইনজীবী সম্প্রদায়ের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তারা কলেজিয়ামের কাছে এই অভিযোগগুলোর তদন্তের দাবিও জানিয়েছে। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা অবধি হাইকোর্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত’ ।

Leave a Reply