তাড়া খাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি,বমাল সহ তিন দুষ্কৃতী ধৃত রাজনগর থানায়
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
রাজনগর থানার উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত। যার ফলে অনেক সময় বাংলা রা ঝাড়খণ্ড এলাকায় দুষ্কর্ম করে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গাঢাকা দেয় অনায়াসে। কিন্তু জেলার তিনটি থানার পুলিশের গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে এবং কৌশলগত ভাবে নজরদারি চালাতেই দুষ্কর্ম করার আগেই বমাল সহ তিন দুষ্কৃতী পুলিশের জালে আটকা পড়ে। বাকী আরো সঙ্গী সাথীরা অন্ধকারে গাঢাকা দেয়। তবে তিন দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীকারীরা প্রথমার্ধে গুলি ছোড়ে পালানোর চেষ্টা করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। ঘটনাটি বীরভূমের রাজনগর থানা এলাকার । ধৃতদের বাড়ি বীরভূমেরই কাঁকড়তলা থানা এলাকায়। যদিও এই নিয়ে জেলা পুলিশের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে আদালতে আইনজীবী জানান যে, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে মামলাও করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাজনগর থানা এলাকায় পুলিশ মোবাইল ভ্যান নিয়ে টহলরত অবস্থায় রাজনগরের মুরাদগঞ্জ – আড়ালি রাস্তায় দুটি বাইক দেখে সন্দেহ হয় । পুলিশ বাইক দুটিকে দেখে ধাওয়া করতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় একটি বাইকে থাকা ৩ জন। খবর পেয়েই পার্শ্ববর্তী অন্যান্য থানার পুলিশবাহিনী ও সীমান্ত বরাবর চতুর্দিকের রাস্তা রাস্তা ঘিরে ফেলে। তাতেই ধরা পড়ে একটি বাইক সহ তিন জন। বাকি ৩ জন একটি বাইকে চেপে পালাতক। ইতিমধ্যেই তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের কাছে থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পাইপগান, এক রাউন্ড ফাঁকা কার্টিজ, দুটি মোবাইল, একটি মোটরসাইকেল এবং প্রায় সাড়ে আট লিটার মাদকদ্রব্য কোডেন মিক্সড লিকুইড। ঝাড়খণ্ড থেকে ঐ নিষিদ্ধ ড্রাগ এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে এনেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।ধৃতরা সকলেই কাঁকরতলা থানা এলাকার এবং সকলের বয়স ২৬ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। মঙ্গলবার ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয় এবং নিজেদের হেফাজতে সাত দিনের জন্য নেওয়ার আবেদন করেন বিচারকের কাছে রাজনগর থানার পুলিশ। বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে আদালতের আইনজীবী সূত্রে জানা যায়।