গুসকরা উৎসবে কামদুঘা পত্রিকার বার্ষিক সাহিত্য মেলায় চাঁদের বহু নক্ষত্র সমাবেশ
গুসকরা, শনিবার: গুসকরা সাহিত্য এবার চাঁদের মেলা বসে । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক ও সমাজসেবী স্বনামধন্য সমাবেশ সাহিত্য মেলা হয় । ৩৯ তম বর্ষে কামদুঘা পত্রিকার উদ্যোগে সাহিত্য মেলা হয়ে গেল গুসকরায়। গুসকরার অন্যতম উৎসব হয় সেখানকার সুবিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ রটন্তী কালীপূজোকে কেন্দ্র করে। সপ্তাহ কাল ধরে নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বসে বিশাল মেলাও, আর তার অন্যতম পরিচিতি গুসকরা উৎসব নামেই। সেই কালীতলা প্রাঙ্গনেই গুসকরা উৎসব মঞ্চে বার্ষিক সাহিত্য মেলা হয়ে গেল কামদুঘা পত্রিকার উদ্যোগে ও গুসকরায় ।যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার লোকগানের প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী রতন কাহার,গবেষক ডঃ আদিত্য মুখোপাধ্যায়,অধ্যাপক ও গবেষক সর্বজিৎ যশ,সমাজ বন্ধু অমরচাঁদ কুন্ডু প্রমুখ। সাহিত্য মেলা দীপ জ্বেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সম্ভবত বিশ্বের প্রবীণতম সক্রীয় সাংবাদিক সন্তোষ দত্ত ( ৮৮+)। সাথে সঙ্গ দেন সমাজসেবী অমর চাঁদ কুন্ড সহ সকল অতিথি বৃন্দ। অমর চাঁদ কুন্ড বলেন সমাজের উন্নয়নে প্রথম দরকার উন্নত উচ্চ শিক্ষা। বুদ্ধিমান টাকায় জন্য লেখা পড়া করতে পারছেন তাদের সহযোগিতা করতে আহ্বান জানান। কোন দুস্থ ছেলে মেয়ে থাকলে তাঁদের উচ্চ শিক্ষা ডাক্তারী ইন্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে সহযোগিতা করবেন। যা তিনি সারাজীবন করে আসছেন। ছেলেটি চাচির বা আয় করতে শিখলে তার পরিবার ও সমাজের উপকার হবে। উল্লেখযোগ্য তিনি কান্দরা। বাবা নামে মুর্শিদাবাদ নিজের নামে সরকারী ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এবং বেসরকারি বৃত্তি মূলক ও কারিগরী কলেজ করেছেন কয়েকটি। পদ্মশ্রী রতন কাহার জীবনের কথা বলেন তিনি দুই গান গেয়ে মেলার উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করেন।
ছিলেন এরাজ্যের নানান প্রান্তের ১৭৩ কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গন উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য এই অনুষ্ঠানে প্রয়াত বাউল কবি ও গীতিকার অরুণ কুমার চক্রবর্তীকে বিশেষভাবে স্মরণ করার পাশাপাশি উপস্থিত সকল কবি সাহিত্যিকদের দেওয়া হয় গীতিকার ‘বাউল কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রতিভা গাঙ্গুলি তপন কান্তি মুখোপাধ্যায় শিব শংকর বক্সী গনপতী ঘোষ সমাজসেবী অমর চাঁদ কুন্ড সমাজসেবী সেখ আব্দুল লালন সহ ২৮ কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক ও সমাজসেবী কে দেওয়া হয়। মেলায় আগত প্রবীণ নবীন মহিলা কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক শুভানুধ্যায়ীদের গীতিকার বাউল কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী সম্মান দেওয়া হয়।সেই সঙ্গে পরিবেশ সবুজায়নের লক্ষ্যে প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে চারাগাছ।মোড়ক উন্মোচন হয় কামদুঘা পত্রিকার আটত্রিশ বর্ষের বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উম্মোচন করেন মঞ্চে উপস্থিত ডঃ সর্বজিৎ যশ ডঃ আদিত্য মুখোপাধ্যায় পদ্মশ্রী রতন কাহার সমাজসেবী অমর চাঁদ কুন্ড প্রবীণ সাংবাদিক সন্তোষ দত্ত কবি সাহিত্যিক শিবশঙ্কর বক্সী তপন মুখোপাধ্যায় গণপতি ঘোষ প্রদীপ কবিরাজ স্বনামধন্য ব্যক্তি গণ। আসানসোলে নীতা কবি মুখার্জী বোলপুর থেকে লক্ষী কান্ত কর প্রদীপ কবিরাজ বীরভূম থেকে চাঁদ রায় ,নারায়ণ কর্মকার তপতী সাহা ভট্টাচার্য বাঁকুড়া থেকে দুলাল সরকার দুর্গাপুর থেকে অরুণ কৃষ্ণ চন্দ প্রদীপ রাহা নিত্যানন্দ বিশ্বাস আশিস মিত্র কনক চন্দ্র হালদার হুগলী চিন্ময়ী চট্টোপাধ্যায় কাটোয়ার থেকে সরস্বতী অধিকারী তাপস কুমার বন্দোপাধ্যায় ভগবাহাদুর সিং কলকাতা থেকে তপন রায়চৌধুরী সমর শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় অশোক চট্টোপাধ্যায় পার্থ সারথী সরকার চন্দনা কুন্ড রামপুরহাট থেকে বাসুদেব কর্মকার বর্ধমান থেকে মিনতি গোস্বামী মানসী মিত্র রিতা বসুধর দেবশ্রী পাল কল্পনা মজুমদার মতো আরো অনেক মহিলা কবি মধ্যমগ্রাম থেকে দুলাল সুর শোভন নাথ মৈত্র
খানা কূল আরামবাগে থেকে এসেছিলেন সন্দীপ মান্না অসিম মালিক সাংবাদিক সুদীপ পাল ও দেবাশিস পাল প্রবীণ নবীন মহিলা কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতে মেলায় জিলিপি পাঁপড় ভাজা চা সাথে মধ্যাহ্নে পোলাও চিলি চিকেন মটর পনির সহযোগে সাহিত্য মেলা জমে ওঠে।
কবি সাংবাদিক তথা কামদুঘা পত্রিকার সম্পাদক ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘প্রতিটি অনুষ্ঠানে নবীন প্রজন্মের সংখ্যাটা যথেষ্ট কম,তাই নবীনদের সাহিত্যমুখী করাটাও এই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য।তবে একইসঙ্গে নবীন প্রজন্মকে খ্যাতির লোভ সংবরণ করে সাহিত্য সাধনায় মনোনিবেশ করারও পরামর্শ দিলেন তিনি। এছাড়া পরিবেশ দূষণ রুখতে গাছ লাগানো আহ্বান জানান। সাহিত্য মেলা আগত সকলকে গাছের চারা দেওয়া হয়।