মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ে পুলিশ অফিসারদের কড়া নজরদারির মধ্যে হবে যোগেশচন্দ্র ল কলেজ এবং যোগেশচন্দ্র ডে কলেজে সরস্বতী পুজো। দু’টি কলেজের ছাত্ররা প্রত্যেক বছর দু’টি আলাদা জায়গায় আলাদা করে পুজো করেন। এ বছর এমন একটি প্যান্ডেল বানানো হয় যাতে আইন কলেজের পড়ুয়ারা ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরই বহিরাগতরা পুজোয় বাধা দিচ্ছে এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, -‘কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকের নজরদারিতে সরস্বতী পুজো হবে কলেজে। কোন অফিসারের নজরদারিতে পুজো হবে তা ঠিক করে দেবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার’। সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ‘এখন কলেজের ভেতরে থাকা বিতর্কিত প্যান্ডেল ভেঙে ফেলতে হবে’।হাইকোর্টের নির্দেশ, -‘পুজো এবং বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় সশস্ত্র পুলিশকর্মী নিয়োগ করতে হবে। তারই সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গোটা পুজোর ভিডিওগ্রাফি করতে হবে’। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন দায়িত্বে। ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।দুই কলেজে অর্থাৎ, যোগেশ চন্দ্র ডে কলেজ ও যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজো কোন জায়গায় হবে তা ঠিক করবেন দুই কলেজের দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষরা। এদিন সেটাও জোরের সঙ্গে স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত। তারপরই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে নতুন করে অবনতি না হয় সে কারণেই সামগ্রিক নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক। কোন আধিকারিক সেই দায়িত্ব পাবেন তা ঠিক করবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। সেটাও জানিয়েছে হাইকোর্ট।পুজো এবং বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় সশস্ত্র পুলিশ কর্মী মোতায়েন করার নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। অন্যদিকে কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁরা অপারগ, তা এদিন আদালতে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর এমনটাই। অধ্যক্ষরা জানাচ্ছেন পরিস্থিতি তাঁদের হাতের বাইরে। তাঁদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সে কারণেই তাঁরা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।সূত্রের খবর, দু’টি কলেজের পড়ুয়ারা প্রতি বছর দু’টি আলাদা জায়গায় পুজো করতো। এবছর পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে যাওয়ার রাস্তায় এমনভাবে একটি প্যান্ডেল বানানো হয়েছে যা সমস্যা তৈরি করছে। ল’ কলেজের পড়ুয়ারা তাঁদের ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তার জেরেই একটি মামলা করা হয়।এলাকায় চাঞ্চল্য রয়েছে।

Leave a Reply