আসফাকুল্লার মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় আইনী স্বস্তি পেলেন চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় আদালত। চিকিৎসক নাইয়ার বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিন বিচারপতি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত যথোপযুক্ত নয়।’পুলিশি তল্লাশি এবং তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া-চিকিৎসক আসফাকউল্লা নাইয়া। সেই মামলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, -‘ এফআইআর রুজু করে তদন্ত করার মতো উপযুক্ত কোনও তথ্য এবং নথি দেখাতে পারেনি পুলিশ’।ছ’সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গত সোমবার আসফাকুল্লার আইনজীবী হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে পুলিশি তলবের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, -‘নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বিধাননগর পুলিশের একটি দল আসফাকউল্লার বাড়িতে তল্লাশি করেছে। পরবর্তী কালে তাঁকে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় তলবও করা হয়েছে’। বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন। এরপর মঙ্গলবার এবং বুধবার মামলার শুনানি হল।গত বুধবার আসফাকুল্লাকে শোকজ় করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। পিজিটি (পোস্ট গ্যাজুয়েট ট্রেনি) হয়েও ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আসফাকুল্লাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এর পরেই গত বৃহস্পতিবার সকালে জুনিয়র ডাক্তারের কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রামতনু নগর এলাকায় আসফাকুল্লার বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ , বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে বিধাননগর পুলিশের একটি দল যায়। বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তারা। আসফাকুল্লার পরিবারের দাবি, -‘কোনও রকম নোটিস না-দিয়েই এসেছিল পুলিশ। কেন তারা এসেছিল, সে বিষয়েও তাদের কিছু জানানো হয়নি’। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় আইনী স্বস্তি পেলেন চিকিৎসক আসফাকুল্লা।