সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদক ও রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী কাজল সেনগুপ্ত প্রয়াত
।
দীপঙ্কর সমাদ্দার: ২১শে জানুয়ারি সকাল ১১ টার সময় প্রয়াত হলেন সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদক ও রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কাজল সেনগুপ্ত। হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ সর্বভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদের কলকাতার প্রধান অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানান ডঃ মহুয়া মুখার্জি, কল্যাণ সেন বরাট, অমিত দে সহ বিশিষ্ট গুণীজনেরা। এরপর সরাসরি তার বাসভবনে তাকে নিয়ে আসা হয় সেখানেও সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন শিল্পীরা অমিতা দত্ত, মিতা নাগ, কোহিনু সেন বরাট, শংকর রক্ষিত সহ বিশিষ্ট গুণীজনেরা কাজল বাবুকে শ্রদ্ধা জানান। মাত্র ৮০ বছর বয়সে শারীরিক অসুস্থতায় অমৃত লোকে গমন করেন কাজল বাবু। উনি রেখে গেলেন তার দুই পুত্র সন্তান শান্তনু সেনগুপ্ত ও শুভজিৎ সেনগুপ্ত। বেলঘরিয়ার জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশপ্রিয় বিদ্যালয় এর বাংলার শিক্ষক ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী যার কন্ঠ এবং গায়কী মানুষকে মুগ্ধ করেছিল। সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদের ১৯৭৬ সাল থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত ছিলেন সুদক্ষ সদস্য এবং ১৯৮৩ সালে তিনি সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদকের পদের দায়িত্ব নেন। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদ বিভিন্ন সংস্কৃতির আঙ্গিনায় পরীক্ষার বোর্ড হিসাবে সর্বউচ্চে উঠে আসা এবং শিল্পীদের নিয়ে দেশ-বিদেশে কাজ করার এবং ভারতের সংস্কৃতি-বিদেশে পৌঁছে দেওয়া পুরোটাই তার মস্তিষ্কপ্রসূত যা বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন পরিষদের সহ-সম্পাদক শান্তনু সেনগুপ্ত। ১৯৭০ সালে উনি গান শেখার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোহিনী সাহানা প্রতিষ্ঠিত করার পর আজ সেই প্রতিষ্ঠান সংস্কৃতি আঙিনায় একটি পরিচিত নাম। বামপন্থী আন্দোলনের একটি সংগীত সংস্কৃতির শাখা আই পি সি এ র সদস্য ছিলেন কাজল বাবু। তিনি দীর্ঘ জীবন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত একাডেমীর সদস্য ছিলেন। কাজল বাবু ছিলেন দেশ ও বিদেশের বহু সম্মানে সম্মানিত, আজ এমন একজন মানুষের মৃত্যুর পরে এত সংস্কৃতি জগতের মানুষের আগমন ও কাজল বাবুর সারা জীবনের গুনগান মনে করিয়ে দেয় মানুষ হয়ে জন্ম নিলে এই ভাবেই পৃথিবী ছাড়ার সময় মানুষের গুনোগান প্রাপ্য হলে তবে মানবজীবন সার্থক।। কাজল বাবুর মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের অ্যাফিলেটেড সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। কাজল বাবু বাড়িতে বসে সমস্ত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীরা জানালেন আজকের সমাজে যেটুকু মাথা উঁচু করে বেঁচে আছি সেটা সম্পূর্ণই কাজল বাবুর জন্যই সম্ভব হয়েছে।