সাজ্জাকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

সোমবার সাজ্জাকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল হলো মামলা। আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সকালে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টার সময়ে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হন খুনের মামলার বিচারাধীন সাজ্জাক।পুলিশের  অভিযোগ, -‘সাজ্জাক বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁকে আটকাতে গিয়েই পুলিশ গুলি চালায়’। বন্দি সাজ্জাক আলমের ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু নিয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে মামলাটি করেছেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ।সোমবার  এই ঘটনায় মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এনকাউন্টারে পলাতক আসামি সাজ্জাকের গায়ে তিনটি গুলি লেগেছিল। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকি‍ৎসকদের মতে, অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গুলি লেগেছিল তাঁর বাঁ কাঁধে, পিঠে এবং পায়ে। গত শনিবার  সকাল ৮ টা ৫ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এবার এনকাউন্টারে সাজ্জাকের মৃত্যু নিয়ে জল গড়াল হাইকোর্ট পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, খুনের মামলায় বিচারাধীন ছিলেন সাজ্জাক। গত  বুধবার সাজ্জাককে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে জেলে ফেরার পথেই আচমকা পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যান সাজ্জাক।যাতে গুরুতর জখম হন দু’জন পুলিশকর্মী। এরপর গত  শনিবার ভোরে চোপড়ার বাংলাদেশ সীমান্তে তাঁকে ধরে ফেলে এবং পুলিশ এনকাউন্টার করে। রাজ্য পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল, সাজ্জাক বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। সেই অনুযায়ী তাঁকে চোপড়া সীমান্ত ধরা হয়। কিন্তু পুলিশকে লক্ষ্য করে সাজ্জাক গুলি ছুড়লে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এরপরেই নিহত হন সাজ্জাক। হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় জখম দুই পুলিশকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সংবাদ মাধ্যমে জানান, -‘পুলিশের উপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না। কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালাবে। আর তার মন্তব্যেই সাজ্জাককে ‘এনকাউন্টার’-এর যোগ পেয়েছেন অনেকে। এরপরেই সাজ্জাকের এনকাউন্টার নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। উল্লেখ্য, করণদিঘি থানার ছোটসোহার গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাক। ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর নবমীর দিন সুরেশ দাস নামে একজনকে খুন করার অভিযোগ উঠে সাজ্জাক এর বিরুদ্ধে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন -‘ ছোট থেকেই নানা অপরাধমূলক কাজে পাকাপোক্ত ছিল সে’। তবে ২০১৯ সালে সুরেশ দাসকে হত্যার ঘটনার আগেই সাজ্জাককে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয়েরা।এরপর পুলিশ পাকরাও করে। তারপর এই ঘটনা গুলি। জানা গেছে খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি হবে।

Leave a Reply