বসিরহাট আদালতে বিচারক হেনস্থা ঘটনায় বার এসোসিয়েশনের জবাবদিহি চাইলো হাইকোর্ট 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিম্ন আদালতে এক বিচারক কে আইনজীবীদের একাংশের হেনস্থা বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। এই ঘটনায় জেলাজজের চিঠিতে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা দাখিল করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সুত্রে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট আদালতে এক বিচারককে হেনস্থার অভিযোগ বার অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ বসিরহাট আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে।এদিন ডিভিশন বেঞ্চের এজলাসে চালানো হয়েছে হেনস্থার ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিংও।আইনজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধেই হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের এক বিচারক। সেই মর্মে তিনি গত ১০ জানুয়ারি বসিরহাট জেলাজজ কে চিঠিও দেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানিয়ে সেই চিঠি গিয়েছিল কলকাতা  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। বিচারক হেনস্থার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। বিচারক হেনস্থা ঘটনায় বসিরহাট আদালতের এই মামলাটি শুনতে বিশেষ বেঞ্চও গঠন করে দিয়েছেনন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই অনুযায়ী, বুধবার বিচারপতি বসাক এবং বিচারপতি রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের এজলাসে হেনস্থার ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড চালান দুই বিচারপতি। এর পরেই বসিরহাট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। তাঁদের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট অভিযুক্ত আইনজীবীদের সম্পর্কে তথ্যও চেয়েছে। চার সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে ।গত মঙ্গলবার রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে ঠিকঠাক টাকা দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ জানিয়ে  অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালতগুলিতে কর্মচারীর অভাব নিয়েও রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।হাইকোর্ট সূত্রে প্রকাশ , রাজ্যের ১১টা জেলা থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জমা পড়েছে।সেখানে জানানো হয়েছে, ওই জেলার আদালতে বার অ্যাসোসিয়েশনের জন্য ঘর নেই। বিচারকদের বসার জায়গা নেই। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, -‘রাজ্যের সঙ্গে এ বিষয়ে যুদ্ধ করতেও তিনি প্রস্তুত। তিনি আর কয়েক মাস প্রধান বিচারপতির পদে থাকবেন। তার মধ্যে রাজ্য যদি পদক্ষেপ না করে, তিনি রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন।এর আগেও নিম্ন আদালতে কর্মীর অভাব, পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মামলার ভার নিয়েও অভিযোগ উঠেছে।

Leave a Reply