কালিঘাটের কাকু মামলায় সিবিআই কে তুলোধোনা কলকাতা হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে সুজয় ভদ্র এর জামিন বিষয়ক মামলা।প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই। এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ প্রসাদ ওরফে কালীঘাটের কাকু। সেই মামলায় এখনই কোনও নির্দেশ দিল না হাইকোর্ট।তবে মৌখিক আইনী রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর ফের মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ।সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আগাম জামিনের মামলায় সিবিআই কে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট । প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট তথা আদালতে অভিযুক্তকে পেশ করার নির্দেশ জারি থাকা অবস্থায় কীভাবে সেই ব্যক্তিকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে। সিবিআইয়ের এমন পদক্ষেপ ব্যাখ্যাতীত জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। গতব২৫ নভেম্বর সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়। সেই ওয়ারেন্ট জারি থাকা অবস্থায় ২৬ নভেম্বর সিবিআই ‘শোন অ্যারেস্ট’ নথি নিম্ন আদালতে জমা দেয়। অথচ অভিযুক্তকে এখনও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট অনুযায়ী নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়নি। এই অবস্থায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী অভিযুক্তের আগাম জামিন প্রাপ্য বলে দাবি করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। ইডির হেফাজতে থাকা কালিঘাটের কাকুকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। সেই সূত্রে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় আইন অনুযায়ী কীভাবে শোন অ্যারেস্ট আবেদন পেশ করা হল, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন , -‘বহু কোটি টাকার তদন্ত যেখানে চলছে, সেখানে তদন্তকারী অফিসার আইনের এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলি জানেন না? নাকি অভিযুক্তকে ঘুরিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে? যদি ওই তদন্তকারী অফিসার সত্যিই যোগ্য হন, তার প্রতিফলন কেন তাঁর কাজে দেখা যাচ্ছে না? কেন এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার প্রতিটি ক্ষেত্রে তদন্তে দেরি হয়েই চলেছে?’দুই সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা সহ হলফনামা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হলফনামা পেশ হলে আবেদনকারী পাল্টা হলফনামা দেবে।তিন সপ্তাহ পরে পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে ।