‘এতদিন মনে হলো না জিজ্ঞাসাবাদের কথা?’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। খোদ বিচারপতির প্রশ্নবাণে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।কলকাতা হাইকোর্টে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিনের আবেদনের মামলায় এবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো ।’পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আর কতদিন আটকে রাখা সম্ভব?’ চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। আর এবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই একইভাবে প্রশ্নের মুখ পড়ল সিবিআই। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মামলায় সিবিআই-কে কড়া প্রশ্ন করল হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর সরাসরি প্রশ্ন, ‘এতদিন মনে হল না জিজ্ঞাসাবাদের কথা?হঠাৎ জামিন পেতে পারে ভেবে সিবিআই ডেকে পাঠাল অভিযুক্তকে?”নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করেছে আগেই। বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন তিনি(সুজয় ভদ্র)। দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালেও কেটেছে তাঁর। এবার তাঁকে হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তারপরই আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এখন তাঁর আশঙ্কা, সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে।সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানোর পর সুজয় ভদ্রকে সশরীরে বিশেষ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুকে ব্যথা হওয়ায় হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তবে হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, -‘ কেন তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হল!’ এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বাগচী বলেন, -‘এখন অনলাইন হাজিরা গ্রহণযোগ্য, তাহলে কেন কোর্টে যেতে বলা হল?’ সিবিআই-এর সমালোচনা করে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, -‘দেড় বছর অভিযুক্ত ইডি-র মামলায় জেলে। তাহলে এখন কেন তৎপর হল সিবিআই? ‘ বিচারপতির প্রশ্ন, “হাইকোর্ট থেকে সেই মামলায় জামিন পেতে পারেন দেখে, তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন? এতদিন কী করছিল সিবিআই?”হঠাৎ জামিন পেতে পারে ভেবে সিবিআই ডেকে পাঠাল অভিযুক্তকে? প্রশ্ন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ফের শুনানি এই মামলার ।শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করে ইডি। ত গত কয়েক দিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় একের পর এক জামিন হচ্ছে। মানিক ভট্টাচার্য থেকে শুরু থেকে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের জামিন হয়েছে। কালীঘাটের কাকুও এবার জামিন পেতে পারেন। সেই কথা চর্চায় উঠে আসে।সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আশঙ্কা, -‘সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে’। আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।