Spread the love

‘পুলিশ যাকে খুশি গ্রেপ্তার করবে,পরে আবার ছেড়েও দেবে! ‘ প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিচারপতি ভরদ্বাজ 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে ছাত্রসমাজের ৪ প্রতিনিধিকে গ্রেফতারের বিষয় সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে।  গ্রেপ্তারি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ।’ খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রে গ্রেফতার হলে ২৪ ঘন্টায় মুক্ত কেন? এই  প্রশ্ন বিচারপতির। এ বিষয়ে কেস ডায়েরি বা যাবতীয় নথি তলব করেছেন বিচারপতি। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি।উল্লেখ্য,  ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানের আগের দিনই ৪ জন ছাত্রনেতাকে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে থাকে । গত ২৭ অগাস্ট রাত ১২:০৫ নাগাদ গ্রেফতার করা হয়।  এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে রাজ্য জানায়, -‘গত ২৬ আগস্ট রাত ৯ :৫৫ টা নাগাদ গোলাবাড়ি থানার পুলিশ জানতে পারে যে হাওড়া স্টেশনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে কিছুজন, গোলমাল পাকাচ্ছে এবং খুনের চেষ্টার ছক কষছিল তারা। তাই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়’।নবান্ন অভিযানের আগের রাতেই হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই চার ছাত্রকে। পরের দিনই আবার থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, “কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করল পুলিশ? আর কীসের ভিত্তিতেই বা ছেড়ে দিল? এভাবে চললে তো পুলিশ যাকে খুশি গ্রেফতার করবে আর ২৪ ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেবে!”রাজ্যের তরফে সওয়াল করে বলা হয়, “পুলিশের কাছে খবর ছিল যে এই চারজন গণ্ডগোল পাকাতে পারে, তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।” পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, “পুলিশ কোথা থেকে এদের বিরুদ্ধে তথ্য পেল? কী অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ? এদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের নিদর্শন আছে? আবার এদের সম্পর্কে যদি গুরুতর অভিযোগ থাকে, তাহলে ছেড়েই বা দিল কী করে? আর যদি পুলিশের কাছে তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টা আটকেই বা রাখা হল কেন?”  আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টে ধৃতদের একজনের বাবা মামলা করলে পুলিশ ওই চারজনের গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে। যদিও সেদিনই বিকেলে বেলুড় থানা থেকে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ ছিল নবান্ন অভিযানে গোলমাল পাকাতে পারেন তাঁরা।আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *