Spread the love

মেধাতালিকায় থেকেও মিলেনি চাকরি,  মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে। শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলা।মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও মেলেনি তাঁদের(মামলাকারীদের) চাকরি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি নির্দেশনামায় জানিয়েছেন, -‘ আবেদনকারীদের আবেদন দীর্ঘদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ফেলে রাখতে পারে না’। অবিলম্বে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।ব্যবস্থা গ্রহণে দেরি হলে কড়া দাওয়াই দেওয়ার বার্তা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ২০২০ সালে এসএলএসটির ৪৬৫ টি শূন্যপদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২০২১ সালের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ধাপে ধাপে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। নবম এবং দশম শ্রেণীর সাঁওতালি মিডিয়ামে কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদ ছিল ১৯টি। মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ ৮ চাকুরীপ্রার্থী তারা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন ।২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেধা তালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের তাদের এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ভেরিফিকেশন হয়। কিন্তু তারপরেও কারও চাকরি হয়নি বলে দাখিল মামলায় অভিযোগ।কর্মশিক্ষা বিষয় একাধিক চাকরিপ্রার্থী মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তরা নিয়োগপত্র না পাওয়ায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানান। নিরুপায় চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন। মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ আট জন চাকরি প্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন ,-‘ ১৯টি শূন্য পদ ছিল এবং তার মধ্যে ১৭ জনের চূড়ান্ত মেধাতালিকায় মামলাকারীদের নাম ও নথিভুক্ত ছিল। সে ক্ষেত্রে সকলেরই নিয়োগ পাওয়ার কথা। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মামলাকারীদের সমস্ত তথ্য যাচাই করে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করেছে’। এর পাশাপাশি মেধাতালিকায় তাদের নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের বঞ্চিত করে ওই শূন্য পদে কারা নিয়োগ পেলেন?  আইনজীবীর দাবি,”আদালতে স্বচ্ছ নিরপেক্ষের তদন্তের প্রয়োজন আছে”। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় এজলাসে  একাধিকবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও তারা আদালতে নির্দেশ এড়িয়ে গিয়েছে। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় তাঁর  নির্দেশনামায় জানিয়েছেন -‘মামলাকারীরা মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরেও তারা নিয়োগ থেকে কেন বঞ্চিত হলেন?  আবেদনকারীদের আবেদন দীর্ঘদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ফেলে রাখতে পারে না’। অবিলম্বে বিষয়টি ৬ সপ্তাহের বিষয়টি খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশ পেয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কি ব্যবস্থা নেয়? 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *