২০১৬ সালে আপার প্রাইমারির যে রিক্রুটমেন্ট প্রসেস স্কুল সার্ভিস কমিশন শুরু করেছিল তা ২০১৯ সালে চ্যালেঞ্জ হয় কলকাতা হাইকোর্টে, প্রথমবার। ২০২০ সালে সেই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করা হয় ১১ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে, এই রায় দিয়েছিলেন তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি শ্রীমতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এবং সেই সময় তিনি তৎকালীন শুরু করা রিক্রুটমেন্ট প্রসেসটি বাতিল করেন এবং এরপরে তা পুনরায় বিচারপতির রায় অনুসারে ২৮ শে ডিসেম্বর ২০২০ সালে পুনরায় শুরু হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনারই প্রকাশিত নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এমতাবস্থায় স্কুল সার্ভিস কমিশন যে প্রক্রিয়া শুরু করে তাতে অসঙ্গতি দেখা যায় নতুন করে। তাই পুনরায় তা আবার চ্যালেঞ্জ হয় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। সেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায় মামলাকারীদের পক্ষে সহানুভূতিশীল না হওয়ার কারণে এবং ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ হয়। তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার মহাশয় সেই প্রক্রিয়া স্থগিত করেন কিছু শর্তসাপেক্ষে এবং পাশাপাশি সেই মামলার শুনানিও চলতে থাকে। দীর্ঘ তিন বছর এই মামলার শুনানি বিভিন্ন বেঞ্চে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যায়ক্রমে হওয়ার পর গত ১৮ জুলাই বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং পার্থসারথি চ্যাটার্জির বেঞ্চে তার সমাপ্তি ঘটে। আগামীকাল অর্থাৎ ২৮শে আগস্ট ২০২৪ দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত অপেক্ষমান এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হতে চলেছে বেলা দুটোর সময়। এখন এটাই দেখার যে এই রায়ের পর দীর্ঘ অপেক্ষারত উচ্চ প্রাথমিকের আবেদনকারী শিক্ষকরা কতটা লাভবান হন। এই মামলার আইনজীবী ভিষক ভট্টাচার্য, সুবীর সান্যাল এবং প্রাক্তন এডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংরক্ষণ জনিত অসঙ্গতি, শূন্যপদ ঘোষণার ক্ষেত্রে অনিয়মানুবর্তিতা এবং পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত ত্রুটি নিয়ে সওয়াল করেছেন প্রধানত। এখন বলাই বাহুল্য সকলেই প্রতীক্ষারত আগামীকালের পূর্ণাঙ্গ রায় কি হয় তার জন্য।