দ্বিতীয় বার্ষিক বিদ্যাসাগর শিক্ষা রত্ন ও বিদ্যাসাগর সমাজ কল্যাণ রত্ন পুরষ্কার প্রদান
পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম পিতাহি পরমং তপ, পিতোরি প্রিতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্বদেবতা।শাস্ত্রের বচন শিরোধার্য করে ভারতীয় সংস্কৃতিতে এখনও বহু সন্তান পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকেন পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ উপভোগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। কৃতজ্ঞ থাকেন একটি জীবন লালন পালন করতে পিতার দায়বদ্ধতার প্রয়াসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। এমন এক সন্তান দেবাশীষ বাগ । দেবাশীষ হয়ত কবি অপূর্ব দাসের বাবা কবিতাকে আশ্রয় করে পিতৃতর্পণ করে বলতে চেয়েছেন ,,,,, যেদিন আমার ঘরে তোমার মত বাবা জন্ম নেবে সেও একদিন আমার মত খুঁজবে আমাকে, বাবা হয়ে জন্ম দেবে আরেক বাবাকে, বাবা বাবা খেলা চলবে পৃথিবীতে নিরন্তর বুঝবে সে হারিয়েছে যে বাবার ভালোবাসা আদর।
দেবাশীষের পিতা প্রয়াত বিনোদবিহারী বাগ ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। তাঁর কর্মময় জীবনে শিক্ষা প্রসারে তিনি ছিলেন অগ্রণী। সেই স্মৃতি ও শ্রদ্ধার ফলশ্রুতিতে কন্ঠীবাড়ী পথের দিশারী রামগড়িয়া সেবক সভা , লায়ন্স ক্লাব কলকাতা নর্থ সিটির যৌথ সহযোগিতায় দুটি পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। বিশিষ্ট অতিথি পুনে ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন অধ্যাপক ড: সমর রায়চৌধুরী, যাদবপুর ইউনিভার্সিটির বর্তমান অধ্যাপক ড: চিত্তরঞ্জন সিনহা কলকাতা পুলিসের প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার প্রদীপ দত্ত, লায়ন্স ইমিডিয়েট পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর কনক কুমার দুগ্গার, চিকিৎসক অশোক কুমার প্রধান ও কয়েকজন চিত্রকলা শিল্পী ও সমাজসেবীর উপস্থিতিতে বিদ্যাসাগর শিক্ষারত্ন ও বিদ্যাসাগর সমাজকল্যাণ রত্ন পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
পুরষ্কার প্রাপকদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল কিশোরকুমারের ৯৫ তম জন্মদিন উদযাপন।গত ২৪ বছর ধরে এই অনুষ্ঠান পালন করছে কণ্ঠিবাড়ি পথের দিশারী সংগঠন। সংগঠনের সাংস্কৃতিক শাখা তারানা মিউজিক্যাল গ্রুপের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্বে উপস্থিত ছিলেন বহু সংগীতশিল্পী ও চলচ্চিত্রশিল্পী। ছিলেন সুমিত গাঙ্গুলি , মৃত্যুন হাজরা , অভিরাজ দাশগুপ্ত, শর্মিষ্ঠা পাল , গিরিশ মধুমিতা অরোরা, কুন্তল ব্যানার্জি, প্রমোদ সিং প্রমুখ। তাঁদের সম্মান স্মারক, শংসাপত্র ও গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দেবাশীষ বসু।