বুদ্ধ পূর্ণিমায় মহাপ্রভু মন্দিরের উদ্বোধনে নয়ন
বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমার শুভ দিনে ভাতারের বনপাস অঞ্চলের নীলডাঙ্গা গ্রামে মহাপ্রভু মন্দিরের শুভ উদ্বোধন করলেন ভাতারের সমাজসেবী নয়ন সামন্ত । বৈশাখী পূর্ণিমা মহৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয় । বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন । বুদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি সনাতনী ধর্মের মানুষদের কাছেও এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সনাতনী ধর্ম অনুসারে শ্রীবিষ্ণুর নবম অবতার হিসেবে গণ্য করা হয় গৌতম বুদ্ধকে । তাই এই মহৎ তিথিতে মহৎ উদ্দেশ্য সাফল্যমন্ডিত করার জন্য নীলডাঙ্গা গ্রামে হাজির হয় এলাকার স্বনামধন্য সমাজসেবী নয়ন সামন্ত ।
উল্লেখ্য দীর্ঘ ১০০ বছরের আগে ঘোষ পরিবারের সদস্যরা স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করে । সময়ের পরিবর্তনে পারিবারিক পুজো সার্বজনীন রূপ নেয় । তৎকালীন সময় টিনের চালাতে মহাপ্রভুর সেবা করা হতো । দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মহাপ্রভুর পূর্ণ মন্দির না থাকায়, সেই খবর সমাজসেবী নয়ন সামন্তের কানে পৌঁছাতেই তার পূর্ণ সহযোগিতা এবং গ্রামের সকলে মিলে এই মন্দির তৈরি করে । পূর্ণ তিথিতে এলাকার সাধারণ দুঃস্থ ও গরিব মানুষেরা মহাপ্রভুর আরাধনায় তারা যাতে নতুন বস্ত্র পরিধান করতে পারে সেই লক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণের মতো এক মহৎ উদ্দেশ্য গ্রহণ করা হয় মন্দির চত্বরে ।
ঘোষ পরিবারের সদস্য সঞ্জয় ঘোষ জানান, মন্দির তৈরি হওয়া শুরু থেকে খোঁজ খবর নেওয়া এবং নয়ন বাবুর হাত দিয়ে ফিতে কেটে শুভ উদ্বোধন করা হয় । নয়ন বাবু শুধুমাত্র মন্দির তৈরি করে দিয়েছেন বা বস্ত্রদান করেছেন তা নয় পাশাপাশি এলাকার দুঃস্থ ও গরিব মানুষেরা যদি কোন সমস্যা নিয়ে নয়ন বাবুর কাছে যান তিনি দুহাত বাড়িয়ে দেন । সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে, এরকম মহৎ ব্যক্তির সংস্পর্শে আমাদের আশাটা সত্যিই এক মহৎ কাজ বলে বিবেচনা করি ।
দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল সাফল্যমন্ডিতে পাওয়ায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষেরা । গ্রামের মোড় থেকে মন্দির পর্যন্ত সমাজসেবী নয়ন সমন্তকে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানান গ্রামের মা ও বোনেরা । প্রত্যেক দুঃস্থ মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিন শুধুমাত্র নীলডাঙ্গা গ্রাম নয় ভাতারের যেকোনো প্রান্তে মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন নয়ন সামন্ত বলে জানালেন উদ্যোক্তারা ।