পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই অনুসন্ধান,দু সপ্তাহের স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
নিজস্ব প্রতিনিধি,
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। জিটিএ-তে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছিল রাজ্য। এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ এর আগে বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। সিবিআই অনুসন্ধানে রাজ্যের স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ছদ্মনাম চিঠিতে পাহাড়ে নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই-কে গত ৯ এপ্রিল অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায় গত ১৯ এপ্রিল ।হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখার পরেই সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সঙ্গে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদও। এর আগে গত সোমবার প্রধান বিচারপতির এজলাসেই হয় মামলার শুনানি। কিন্তু চাকরি বাতিলে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।জিটিএ-র অধীনে প্রাথমিক, আপার প্রাইমারি ও উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ছাড়াই ৭০০ জনের বেশি শিক্ষককে পাহাড়ে নিয়োগ করা হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে বিচারপতির হাতে কিছু বেনামী চিঠি এসে পৌঁছয়। সেই ‘রহস্যময়’ চিঠির কতটা সত্যতা রয়েছে তা অনুসন্ধান করতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।এদিন সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার।