নাতিকে নিয়েকংসাবতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে মারা গেলেন দাদু দীনবন্ধু মহাপাত্র
।:—–শুভদীপ ঋজু মন্ডল বাঁকুড়া:—–মামা বাড়িতে এসে মামাদাদুর সাথে সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে কংসাবতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে নদীতে ভেসে যায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র নাতি সৌম্যদীপ চৌনি তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নাতিকে কাঁধে তুলে পি এইচ ই দপ্তরের পাইপ লাইনে আটকে যান দাদু দীনবন্ধু মহাপাত্র বয়স প্রায় ৭৫ বছর । স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করার চেষ্টা করে ঘটনার খবর পৌঁছে যায় রাইপুর সবুজ বাজারে তাড়াহুড়ো করে উদ্ধারকার্যে এগিয়ে আছেন স্থানীয় মানুষজন।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাইপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার বৈদ্যনাথ রজক নদী জলে ঝাঁপিয়ে পড়েনএবং দীর্ঘক্ষন জলের সাথে লড়াই করে সৌম্যদীপ চৌনিকে উদ্ধার করে ডাঙ্গায় নিয়ে আসেন কিন্তু বৃদ্ধ দীনবন্ধু বাবুকে বাঁচানো যায়নি তিনি পাইপ লাইনে আটকে মারা যান। ঘটনাটি রাইপুর সবুজ বাজারের নিকট কংসাবতী নদীতে।দীনবন্ধু বাবুর বাড়ি সারেঙ্গা ব্লকের চিলতোড় গ্রামে। শিশুটিকে উদ্ধার করা গেলেও দীনবন্ধু বাবুকে বাঁচানো যায়নি তিনি পাইপে আটকে গিয়ে জলে ডুবে মারা যান। সৌম্যদীপের মা ঝুমা মহাপাত্র চৌনি সেই সময় তার মেয়েকে নিয়ে রাইপুরে একটি অঙ্কন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরীক্ষায় ছিলেন ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি নদীতে আসেন। শিশুটিকে উদ্ধার করার পর রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়পরে স্থানীয়রা দীনবন্ধু বাবুর দেহটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে রাইপুর ও সারেঙ্গা থানার পুলিশ হাজির হয়। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। স্থানে উল্লেখ্য উদ্ধার কাজে বৈদ্যনাথকে সাহায্য করে রাইপুরের বাসিন্দা গোপাল দুলে ও শচীন দুলে। উদ্ধার কাজে তদারকি করেন সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সিদি গ্রামের বাসিন্দা অজিত দাস ধীবর, সুরজিৎ মহাপাত্র, চিনময় মহাপাত্র, সহ অনেকেই।