Spread the love

স্বামীজীর জন্মদিনে ও মাস্টারদা সূর্য সেনের আত্মোৎসর্গ দিবসে মনীষী চর্চা কেন্দ্রের শ্রদ্ধার্ঘ্য,

বার্ষিক অঙ্কন প্রতিযোগিতা,

নিজস্ব প্রতিনিধি, 

আকাশ জুড়ে শীতের হিমেল পরশ। দিনের প্রথম রোদ্দুর এসে যেন বলে গেল–“ওঠো জাগো, আর ঘুমিও না। সকল অভাব, সকল দুঃখ ঘুচাবার শক্তি তোমাদের নিজের ভিতর রয়েছে, এ কথা বিশ্বাস করো, তাহলেই ঐ শক্তি জেগে উঠবে”।  স্বামীজীর এই অমোঘ বাণী যেন টেনে নিয়ে চলল আমায়। এই বাণীর আকর্ষণে একদিন ঘর ছেড়ে ছিল হাজারো হাজারো যুবক। তাদের চেতনায় স্বামীজী আর হৃদয়ে দেশমাতৃকা। সমগ্র বাংলায় তখন উত্তাল ঢেউ। মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে তারকেশ্বর দত্তরা। আর ও দিকে মেদিনীপুরের কৃতীসন্তান প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্যরা। একই দিন ব্রিটিশরা কেড়ে নিল এই তিন বিপ্লবীকে। অকথ্য অত্যাচার সংঘটিত হলো মাস্টারদার উপর। ব্রিটিশ পুলিশ মাস্টারদার দাঁত নখ উপড়ে নিল। 

এ হয়তো আজ ইতিহাস, অনালোকিত, অচর্চিত। আজ তাই স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরে যে নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন স্বামীজি দেখেছিলেন, দেখেছিলেন মাস্টারদা সূর্যসেন– তা যেন আজ অন্ধকারের গহ্বরে নিমজ্জিত। এক অবৈজ্ঞানিক, জাতপাতে দীর্ণ এক অস্থির ভারতবর্ষ জন্ম নিচ্ছে। আজকের প্রজন্ম তাই বড়ই দিশাহীন। বিপন্ন বিষণ্ণ এই সময়ে তাই  এইসব বড় মানুষদের জীবনচর্চা এবং জীবনচর্যাই দেখাতে পারে সঠিক পথ। আর সেই লক্ষ্যে মনীষী চর্চা কেন্দ্রের আজকের এই অঙ্কন প্রতিযোগিতা সংঘটিত হলো জগদ্বন্ধু ইনস্টিটিউশনের প্রাঙ্গণে। পঞ্চাশের উপর ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সুদূর ব্যারাকপুর থেকেও প্রতিযোগী এসেছিল। এটাই আমাদের অনেকটাই পাওয়া। এখানে এ দিনের অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত ধরা রইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *