ধারাবাহিক আক্রমণ অব্যাহত
ভোটের পরেও তৃণমূল বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি
খায়রুল আনাম
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটপর্ব মিটেছে অনেক আগেই। গঠিত হয়ে গিয়েছে প্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের বোর্ড। কিন্তু ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটপর্বের সময় থেকে বীরভূমের মুরারইয়ের পানিহারা গ্রামে যে রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তা আজও অব্যাহত বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই বুথ সভাপতি মহম্মদ সাবের। তাঁর দাবি, এখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হওয়ার পর থেকেই লাগাতার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হচ্ছে।
মুরারই থানার পানিহারা গ্রামে বিগত পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দু’জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। তারপর থেকেই আতঙ্ক ছড়াতে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে প্রায়ই রাতের অন্ধকারে বোমাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বুধবার ২৭ ডিসেম্বর রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের শেখ বুদুর বাড়ি লক্ষ্য করে কে বা কারা বোমা মেরে অন্ধকারে চম্পট দেয়। এবার বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর রাতে একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি মহম্মদ সাবেরের বাড়ির পিছনে ব্যাপকহারে বোমাবাজি করা হয়। মহম্মদ সাবের জানান, বিগত পঞ্চায়েত ভোটে এখান থেকে দুই নির্দল প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে রাতের দিকে হামেশাই বোমাবাজি করা হচ্ছে। কে বা কারা এ কাজ করছে তা অবশ্য তিনি খোলসা করে বলেননি। তিনি বলেন, রাতে কে বা করা বোমাবাজি করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করে রাখতে চাইছে তা তিনি বলতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার সময় তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। সেই সময় তাঁর বাড়ির বাইরে মাঠের দিকে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। তিনি মুরারই থানার সাথে যোগাযোগ করলে রাতেই মুরারই থানার ওসি প্রদীপ ঘোষ পুলিশবাহিনি নিয়ে গ্রামে এসে টহল শুরু করেন। গ্রামেরই কাঞ্চন খাঁ-র বাড়ি থেকে বেশকিছু লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় গ্রামে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।।