পুরুলিয়ার শিক্ষকের বকেয়া বেতন মেটাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বললো ডিভিশন বেঞ্চ
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল এক প্রাথমিক শিক্ষকের বকেয়া বেতন সংক্রান্ত মামলা। পুরুলিয়া জেলার গণেশ গোড়া প্রাথমিক বিদ্যালযয়ে সহকারি শিক্ষক শ্রী সমন্বয় চৌধুরী তার বকেয়া বেতন আদায়ের জন্যে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় বাবুর আইনজীবি শ্রী সৌগত মিত্র প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এর অর্ডার ও কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়’ এর রায় কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল মামলা দায়ের করেন ডিভিশন বেঞ্চে ।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমার এর ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত দিক বিবেচনা করে প্রাথমিক শিক্ষা সাংসদের দেওয়া রায় খারিজ করে, এর পাশাপাশি কমিশন অফ স্কুল এডুকেশন কে নির্দেশ দেয় যে সমন্বয় বাবুর বকেয়া পাওনা সম্পর্কে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে । ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায় – ‘ সমন্বয় বাবুর প্রাণনাশের আশঙ্কায় ও নিরাপত্তা অভাব বোধ করায় তিনি সেই সময় বিদ্যালয় যেতে পারেননি। ওই সহকারি শিক্ষকের তরফ থেকে কোন ইচ্ছাকৃত গাফিলতি ছিলো না’ । মামলাকারী আইনজীবী সৌগত বাবু এজলাসে জানিয়েছেন – “সমন্বয় বাবুর বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় তদন্ত হয়নি। তাই তার বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হোক”।আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ১৯.১২.২০১২ তারিখে ওই সহকারি শিক্ষক সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যে ওইদিন বিদ্যালয় শুরু হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর কিছু আততায়ী বিদ্যালয় আচমকা প্রবেশ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। পুলিশ ওই সহকারি শিক্ষক কে বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করেছিল। ২০১৩ সালে ১ লা জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারেননি।এই সময়কালের এরিয়া সহ বেতন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষকের আবেদন খারিজ করেন। সম্প্রতি এই মামলার শুনানি চলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে বকেয়া বেতন মেটাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে।