প্রয়াত জনদরদী চিকিৎসক অধীর কুমার ঘোষ স্মৃতিরক্ষা সমিতির উদ্যোগে রাখী উৎসব ২০২৩
মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন,জীবনের সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন আপনি অন্যদের জন্য কি করেছেন? সামাজিক প্রাণী হিসেবে মানবিক দায়বদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন ডা: অধীর কুমার ঘোষ। জীবদ্দশায় মানব সেবার কাজে নিজের পেশাকে কাজে লাগিয়েছেন ।১৯৯৯ সালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁর অনুরাগীরা গত ৮ বছর আগে গড়ে তোলেন আগরপাড়া ডা: অধীর কুমার ঘোষ স্মৃতিরক্ষা সমিতি। ৮ বছরব্যাপী দীন ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সহনাভূতির হাত বাড়িয়ে আসছি সম্পুর্ণ নিজেদের আর্থিক সীমাবদ্ধ ক্ষমতাকে সঙ্গী করে। রক্তদান , বস্ত্রদান , ওষুধ প্রদান, কম্বল বিতরণ, শারদ সম্মান ইত্যাদি সামাজিক কর্মকাণ্ড আমরা করি প্রয়াত ডা: অধীর কুমার ঘোষের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। করোনা পরিস্থিতিও আমরা অন্নহীন মানুষের মুখে খাদ্য তুলে ধরতে পেরে ধন্য হয়েছি।এবছর প্রায় ১ হাজার মানুষকে রাখী বন্ধনে আবদ্ধ করে মানবিক দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি মিষ্টিমুখ করিয়ে।
এই মুহুর্তে আমাদের সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ১৩০ জন। সংগঠনের সভাপতি তাপস চক্রবর্তী ,সাধারণ সম্পাদক অদ্বৈত ঘোষ , সহ সম্পাদক দীপঙ্কর সাহা, সংযুক্তা ঘোষ, রাম অবতার জয়সওয়াল , নেপাল ঘোষ,সুমন সাহা,আমিত সরকার,রুমকি সাহা, কমল দত্ত,রিতা দত্ত, অমিত গুহ ,মিতা গুহ,ও কোষাধ্যক্ষ মল্লিকা ঘোষ।
প্রয়াত চিকিৎসক অধীর কুমার ঘোষের সামাজিক দায়বদ্ধতার অনুপ্রেরণায় আমাদের পথ চলা। তাঁর উপস্থিতি আমরা অনুভব করি হৃদয়ের তন্ত্রীতে, তন্ত্রীতে। আকাশে বাতাসে কান পাতলে শুনি তাঁর কণ্ঠস্বর। তিনি যেন উপনিষদের ভাষায় বলতে চেয়েছেন বায়ুনিলম মৃতযেদম ভষ্মাম্তং শরীরম্ । ওঁ ক্রতোস্মর কৃতং সুর।। অর্থাৎ, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমার এই স্থূল শরীর মিশে যাক বাতাসে। কেবলমাত্র যা কিছু স্মরণীয় আমার, কর্মে ও গানে, শব্দে ও গন্ধে তাকে স্মরণে রেখো। তাই থাকুক স্মরণে। আমরা অক্ষরে অক্ষরে তাঁর বক্তব্যকে পাথেয় করে জীবসেবার মহান ব্রত পালন করে চলেছি বহু মানবিক যোদ্ধাদের সাহচর্যে।