রাগিং বন্ধ করতে স্বপন বাউলের প্রতিবাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও হোস্টেলের সামনে ।।
সংবাদদাতা — শিক্ষা ক্ষেত্রে রাগিং বন্ধের ডাক দিয়ে চলেছেন বাউল গান গেয়ে জেলায় জেলায় স্বপন বাউল । রাগিং বন্ধ না হলে লেখা পড়া যাবে রসাতলে বাউলের এই গান শুনতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ও ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যে হোস্টেলে সেই হোস্টেলের গেটের সামনে মানুষ ভিড় জমান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগিং কাণ্ডে ছাত্র স্বপ্ন দ্বীপের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিভিন্ন সভা ধর্ন্যা মিছিলের মাধ্যমে বহু জনে প্রতিবাদ করেছেন এমন কি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি পর্যন্ত বলেছেন ছি! এটা লজ্যা জনক ঘটনা। এবারে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর বাউল গানে নিঃস্বার্থ সমাজ সচেতনের শিল্পী প্রতিবাদ ও সচেতনে সরব হলেন স্বপন দত্ত ,বাউল গানে গর্জে উঠলেন। তিনি হুগলী জেলার কোন্নগর কলেজে প্রতিবাদ করে জেলায় জেলায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলের সামনে প্রতিবাদ করতে বেড়িয়ে পড়েছেন প্রাপ্তন রাষ্ট্রপতির প্রশংসিত, রাষ্ট্রপতির উপহার দেওয়া একতারা কোল ডুগী নিয়ে। তিনি খাজা আনোয়ার বেড় পূর্ব বর্ধমান থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে নিজের লেখা সুরে বাউল গানে বক্তব্যে প্রতিবাদ করেন।এবং রাগিং কাণ্ডে ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডু যাদবপুরের থানার পাশে যে হোস্টেলে মারা গিয়েছিল সেই হোস্টেলের গেটের সামনে নিজে হাজির হয়ে রাগিং বন্ধের প্রতিবাদ করেন। বাউল গানে ছাত্র ছাত্রী সাধারণ মানুষ, হোস্টেলের সকলকে , বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে কে সচেতন করেন। ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ সকলেই স্বপন দত্ত বাউলের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সকলেই বাউল গানে এমন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর স্বপন দত্ত বাউল কে পেয়ে নিজেরাও খুশি। স্বপন বাউল গানে গানে বলছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে একেবারেই রাগিং বন্ধ হোক। সকল শিক্ষা ক্ষেত্রে সিসি টিভি লাগাতে হবে, অ্যান্টি রাগিং সেল তৈরি করতে হবে । প্রাপ্তনি ছাত্র ছাত্রী যাদের পড়া শেষ হলেই তাদের হোস্টেল থেকে চলে যেতে হবে , বহিরাগতরা যেন শিক্ষা ক্ষেত্রে হোস্টেলে কোনসময়ই ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। বক্তব্যে ও গানে গানে বলেন রাগিং বন্ধ করতে আইন আদালত কে কঠিন আরো কঠোর আইন আনতে হবে । দোষীদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে যেন আর কোনো ছাত্র ছাত্রীকে স্বপ্নদিপের মত প্রাণ হারাতে না হয়। রাগিং চলছে দীর্ঘ বহু বছর ধরে কিন্তূ আইন আদালতে কঠিন শাস্তি হয়না বলেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলের কতৃপক্ষরা এতদিন রাগিং কান্ড নিয়ে উদাসীন ছিলেন বলেই কত শত স্বপ্নদিপের প্রাণ গেছে। কত ছাত্র ছাত্রীকে রাগিং কাণ্ডে শারীরিক মানসিক যৌণ নির্যাতনে অত্যাচারে প্রাণ হারাতে হয়েছে, মায়ের কোল শুন্য হয়েছে। সরকারকে এমন কঠোর আইন এনে দোষীদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে যা দেখে আর কেউই যেন ছাত্র ছাত্রীদের রাগিং অত্যাচার করতে সাহস না পায়। রাগিং নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না শিক্ষা ক্ষেত্রে রাগিং বন্ধ না হলে ছাত্র ছাত্রী দের লেখাপড়া রসাতলে যাবে । নিঃস্বার্থ বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্র ছাত্রীদের রক্ষা করতে বাঁচাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ও যাদবপুর হোস্টেলে এবং রাজ্যের জেলায় জেলায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলের ক্যাম্পাসের সামনে ছাত্রছাত্রীদের ও কতৃপক্ষদের এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন ও প্রতিবাদ করতে দেখে ছাত্র ছাত্রীরা ও জনগণ সকলেই বলেছেন স্বপন বাউল আমরাও আপনার সঙ্গে রাগিং বিরোধী প্রতিবাদে আপনার সাথী । সকলেই বলেন নিঃস্বার্থ এই জনহিতকর কাজ ও আপনার মানবিক মুখ দেখে আমরা সকলকেই মুগ্ধ। সারা বাংলার জেলায় জেলায় ঘুরছেন নিজ উদ্যোগে বিনা পারিশ্রমিকে নিঃস্বার্থ ভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে হোস্টেলের ছাত্র ছাত্রীদের রাগিং অত্যাচার থেকে বাঁচাতে ও রক্ষা করতে । বাউল গানে প্রতিবাদ মানুষের ঘুমন্ত মনকে জাগিয়ে তুলবে , সকলেই রাগিং সমন্ধে সচেতন হবে জনগন ও সরকার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে সচেতন হলেই রাগিং বন্ধ হবে বলে অনেকেই আশা।।