Spread the love

বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা দিয়ে বয়ে গেছে অজয় নদ।এই অজয় নদের বালিঘাটে ‘রাশ’ থাকে শাসক দলেরই হাতে। শোনা যায়, শাসক দলের এক বড় নেতার এজেন্টরা বকলমে চালায় এইসব। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিগত বাম জমানায় সিপিএম নেতাদের ‘বাহিনী’ রাখার খরচপানি কিংবা পুলিশের বিভিন্ন জনহিতকর কার্যে অর্থের জোগানদাতা এই অজয় নদের বালি।অজয় নদের এপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের শ্যামাপ্রসন্ন লোহার যেমন সভাধিপতি হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। ঠিক তেমনি অজয় নদের ওপারে নানুরের কাজল শেখ হয়েছেন বীরভূম জেলা সভাধিপতি।অজয় নদের সংখ্যাগরিষ্ঠ বালিঘাটে খাতা-কলমে ইজারাদাররা থাকলেও, বালিঘাটে নিয়ন্ত্রণ থাকে শাসক দলের নেতাদেরই হাতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের আগে বীরভূমের তৎকালীন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরীম খানের হাতেই ছিল যাবতীয় বালিঘাটের নিয়ন্ত্রণ। যদিও কেরীম খান বরাবর অস্বীকার করে গেছেন এই নিয়ন্ত্রণের কথা।একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রতের ‘প্রাণপ্রিয়’ অনুগামী কেরীম খান এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি।পেয়েছেন অনুব্রতের কট্টর বিরোধী কাজল শেখ। যদিও কাজল প্রকাশ্যে নিজেকে অনুব্রতের বিরোধী বলেন না।এবার তাঁর রাশ (কাজল শেখ) শুধু নানুর নয়,সমগ্র বীরভূম জেলা জুড়ে। কাজল হয়েছেন বীরভূম জেলা সভাধিপতি। অজয় নদের যততত্র বালিঘাটের জন্য যেমন বিপন্ন নুতনহাটের লোচনদাস সেতু।ঠিক তেমনি সারাদিনরাত বালিলুটেরাদের গাড়িতে ঘটে অবিরত প্রাণহানির ঘটনা। এখন দেখার অজয় নদের এপারে মঙ্গলকোটের শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এবং ওপারে নানুরের কাজল শেখ সংশ্লিষ্ট জেলার সভাধিপতি দায়িত্বে এসে বালিলুটেরাদের দৌরাত্ম্য কতটা কমাতে পারেন?

বিস্তারিত আসছে…….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *