বিধান শিশু উদ‍্যানে ডা. বিধান চন্দ্র রায়ের ১৪১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

   মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

সারা রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী। এ বছর একটু অন্যরকমভাবে বিধান শিশু উদ্যানে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গের রূপকার এবং প্রণম্য চিকিৎসক ডা. বিধান চন্দ্র রায়ের ১৪১তম জন্মবার্ষিকী। এই উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বৃক্ষরোপণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ছোটো ছোটো বাচ্চারা বৃক্ষরোপণ করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে থাকে । বিভিন্ন প্রজাতির আম, কাঁঠাল, লিচু, লেবু, বিভিন্ন ফুলের গাছ ও পাতাবাহারি গাছ রোপণ করা হয় উদ্যানের বিভিন্ন প্রান্তে।বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক একরাম আলি, শিক্ষক অভিজিৎ দাশগুপ্ত, শিক্ষক গিরিধারী চক্রবর্তী প্রমুখ। সাহিত্যিক একরাম আলি বলেন—”পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই হল সেই প্রাণী যারা বৃক্ষ ধ্বংস করে। অন্য কোনো প্রাণী গাছ নষ্ট করে না। তাই আমাদেরই অধিক পরিমাণ গাছ লাগিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে”।আপামর বাঙালি হৃদয়ে বিরাজমান বিধান শিশু উদ্যান। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় স্মরণে তাঁরই ডানহাত অতুল্য ঘোষ গড়ে গেছেন বিধান শিশু উদ্যান থেকে বিধান শিশু হাসপাতাল। যা আজও খাঁটি বাঙালিয়ানার পথে শৈশবকাল কে উন্নতর পথে নিয়ে যাচ্ছে বিধান শিশু উদ্যান। উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মাননীয় রাষ্ট্রপতি ড.ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ। কয়েক দশক ধরে সর্বভারতীয় রাজনীতির অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে সরে এসে বিধান শিশু উদ‍্যান তৈরী করেছিলেন যিনি, তিনি অতুল‍্য ঘোষ। অনন‍্য সাধারণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন অতুল‍্য ঘোষ।যিনি শিশুদের কাছে কানাদাদু হিসাবে পরিচিত ছিলেন। অসুস্থ বাচ্চাদের জন‍্য ড.বিধান চন্দ্র রায়ের স্মৃতিতে তৈরী করেছিলেন সবরকমের সুবিধা যুক্ত শিশু হাসপাতাল, উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙ্গায় ফুলবাগানের কাছে এই শিশু হাসপাতাল টি অবস্থিত।আর সমস্ত বাচ্চাদের জন‍্য উল্টোডাঙ্গার হাডকো মোড় সংলগ্ন এলাকায় গড়েছিলেন বিধান শিশু উদ‍্যান। হাজার হাজার মানুষ যাঁরা বেড়াতে আসেন তাঁদের কাছে বিধান শিশু উদ‍্যান বিনোদন পার্ক। আবার যেসব শিশুরা রোজ নাচ,গান,আবৃত্তি, অঙ্কন,যোগা, টেবিল টেনিস, সাঁতার, ক্রিকেট, রোলার স্কেটিং, এ‍্যাথলেটিক্স শিখতে আসে তাদের কাছে বিধান শিশু উদ‍্যান শিক্ষাঙ্গন। বিধান শিশু উদ‍্যান তাই শুধু বিনোদন পার্ক নয় বা শুধু শিক্ষাঙ্গন নয়। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে অন‍্য কিছু একটা বলে জানিয়েছেন বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার। 

Leave a Reply