মোল্লা জসিমউদ্দিন,
পঞ্চায়েত ভোট এখনও ঘোষণা করা হয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। তবে মঙ্গলকোটে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গেছে যেন।শাসক দলের পার্টি অফিসগুলি বিশেষত সদর মঙ্গলকোট এলাকায় পরিস্থিতি ভিন্ন।এখানে কোন বিরোধী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই।তবে শাসক দলের দুই শিবিরের একে অপরের টেক্কা দেওয়া বিশেষত লোকবল প্রদর্শন এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। শুধু তাই নয় সশস্ত্র বিবাদও চলছে দুই তরফে।একপক্ষ আক্রমণাত্মক তো,অপরপক্ষ রক্ষণাত্মক ম্যাচ চালাচ্ছে।এই শক্তি প্রদশর্নের লড়াইয়ে কর্মসংস্থানের জন্য অবশ্য এলাকাবাসীদের ভিন্নরাজ্যে কর্মসূত্রে যাওয়া অনেকটা কমেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ।পুলিশের স্বতঃস্ফূর্ততা এবং নিরপেক্ষতা চেয়েছেন কেউ কেউ।তবে পুলিশ সুত্রে প্রকাশ – ‘যেকোনো ঘটনারই দুপক্ষের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।অভিযোগ অনুযায়ী তদন্তও চলছে’। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচির দিন এক মারামারির ঘটনায় দুই তরফে ১২ জন অভিযুক্ত হয়েছেন।এতে তৃণমূলের অন্দরে দুই শিবিরের দূরত্ব প্রকাশ্যে এসেছে।তবে সেইদিন অবশ্য অভিষেকের নব জোয়ার কর্মসূচি হয়নি তুমুল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। দুই শিবিরেরই দাবি তারাই এবার পঞ্চায়েত ভোটের দলীয় প্রতীক পাবে।একপক্ষের গতবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যেমন রয়েছে। অপরদিকে নুতন করে গড়া বুথ সভাপতিরা আছেন। সকাল থেকে বিকাল সদর মঙ্গলকোট, কামালপুর, জহরপুর,দেওলিয়া প্রভৃতি গ্রাম গুলি রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এলাকার শান্তিপ্রিয় বাসিন্দাদের দাবি – ” এইসব এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ুক,তা না হলে খুনখারাপিতে ফের মঙ্গলকোট আসতে পারে সংবাদ শিরোনামে “।
বিস্তারিত আসছে…..