Spread the love

শুভদীপ ঋজু মন্ডল,

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে বাঁকুড়া জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজনে রাইপুর ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় তিন দিনের জেলা লোকসংস্কৃতি, আদিবাসী সংস্কৃতি ও যাত্রা উৎসবের সূচনা হয়েছিল শুক্রবার আজ তার পরিসমাপ্তি ঘটলো। শুক্রবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুলেখা মাহাত, বাঁকুড়া জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক গণেশ হাঁসদা, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাইপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রঞ্জন সর্দার, যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুজয় ব্যাপারী ,পার্থ ভৌমিক, গড় রাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মধুসূদন মন্ডল, রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শান্তির নাথ মন্ডল, সদস্য পল্টু রজক ,শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সাধন কুমার মন্ডল , মোট গোদা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সত্য মল্ল সহ বিশিষ্ট মানুষজন। অনুষ্ঠান সূচনার আগে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০ টি লোকসংস্কৃতি দল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এই শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিষ্ণুপুরের রাবণ কাটা ।এদিন উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন দীপা দাস ও সম্প্রদায় ।অনুষ্ঠান সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা তথ্য আধিকারিক গণেশ হাঁসদা বলেন হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগ। আমাদের লোকসংস্কৃতির অনেকগুলো বিষয় আজ লুপ্তপ্রায়। তিনদিনের এই উৎসবে সেই হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি গুলিকেই তুলে ধরা হবে এবং যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে দুদিন যাত্রা উৎসব পালিত হবে যা দেখতে হাজার হাজার যাত্রাপ্রেমী মানুষ আসবেন বলে আমার বিশ্বাস। এখানে উল্লেখ্য অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন কলকাতার বিশ্বভারতী অপেরা পরিবেশিত” ভানুমতির খেল” যাত্রাপালাটি মঞ্চস্থ হয় গড় রাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর এই উৎসব মঞ্চে। যাত্রা শেষে হাজার হাজার মানুষের মুখে একটাই কথা দীর্ঘ কয়েক বছর পর এত সুন্দর একখানা যাত্রা দেখার আনন্দ উপভোগ করলাম। এজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। জেলার এই অনুষ্ঠানটি জঙ্গলমহলের গড় রাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থান নির্বাচিত করায় যার অবদান অনস্বীকার্য তিনি হলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রাইপুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, মূলত তার ই চেষ্টায় জেলার এই অনুষ্ঠানটি এখানে অনুষ্ঠিত হলো বলে জানা যায়। আজ উৎসবের শেষ দিনে মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *