দুস্থদের পাশে শিক্ষক সংগঠন
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
কোনো এক অজানা কারণে গত কয়েক বছর ধরে সমগ্র শিক্ষককুলকে সমাজ-শত্রু বানিয়ে তোলার এক ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে। করোনা জনিত লকডাউনের সময় এর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। অনায়াসে তাদের গায়ে অর্থপিপাসুর তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। অথচ শ্রেণিকক্ষের পঠনপাঠনের বাইরেও যে তারা সমাজসেবাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তার আবার প্রমাণ রাখল  শিক্ষক সংগঠন জিএটিসিসি-র পূর্ব বর্ধমান শাখা।
  গত ২২ শে জানুয়ারি সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য সাতসকালে পৌঁছে যায় বর্ধমানের সুপরিচিত অনাময় হাসপাতাল সংলগ্ন আদিবাসী পল্লীতে। তারপর সংগঠনের পক্ষ থেকে একে একে প্রায় দুই শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় শীতের কম্বল। প্রচন্ড ঠাণ্ডার সময় এগুলো পেয়ে বাসিন্দারা খুব খুশি।
প্রসঙ্গত জিএটিসিসি সম্পূর্ণরূপে একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন। আনুষ্ঠানিক রূপ নেওয়ার অনেক আগে থেকেই সংগঠনের সদস্যরা সারাবছর দুঃস্থ ও দরিদ্র মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের দিকে যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তেমনি সেবামূলক কাজেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মহতি এই অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বরূপ দাস, অনিমেষ সাহা, হিমাদ্রী শেখর দে, রাঘব শ্যাম, অমৃত প্রসাদ দাস, অরিজিৎ পান্ডে, বিশ্বনাথ দত্ত, কালাম হোসেন, অরিন্দম মহান্তি, সূর্য্যকান্তি ঘোষ, সুদীপ্ত দাস সহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এরা প্রত্যেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।
সংগঠনের অন্যতম সদস্য বিশ্বরূপ দাস বললেন - বিদ্যালয়ে নিজস্ব দায়িত্ব পালন করার পর নিজেদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। শুধু তাই নয় দুস্থ অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের দিকেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। আগামী দিনেও আমরা একইভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব।
                        
                        
	                                          