ডিভোর্স মামলার রত্নার সায় নেই শোভন কে ছাড়তে

নিজস্ব প্রতিনিধি, 

শোভন ডিভোর্স চাইলেও,রত্নার সায় নেই ডিভোর্সে।শুক্রবার আলিপুর আদালতে এই রাজনৈতিক দম্পতির ডিভোর্স মামলার শুনানি চলে। 

এই শুনানিতে শোভনের হয়ে সাক্ষ্য হিসেবে হলফনামা জমা দিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। রত্নাও এদিন আদালতে গিয়েছিলেন। বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, -‘ মামলা চলছে চলুক। তিনি ডিভোর্স দেবেন না’। আগামী ৩০ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানির দিন ঠিক হয়েছে বলে জানা গেছে ।এদিন শুনানি শেষে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা অনেক দিন ধরে চলছে । পারিবারিক বন্ধু ও শুভাকাঙ্খী হিসেবে ডঃ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন। তিনি অনেক কিছু দেখেছেন। তার সবটা তিনি আদালতে হলফনামা আকারে জমা দিয়েছেন এবং আদালত তা গ্রহণ করেছে। এরপর ওঁদের আইনজীবী  কী প্রশ্নের অবতারণা করবেন তা তো আমাদের জানা নেই? প্রত্যক্ষভাবে সত্যকে সামনে নিয়ে আসার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করেছি।’বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই সংবাদমাধ্যম কে  বলেন, ‘শোভন ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বৈবাহিক জীবনের টানাপড়েনের আমি সাক্ষী। অনেক কিছু দেখেছি এবং শুনেছি। সাক্ষী হিসেবে যতটুকু জানি ততটুকু কোর্টকে সাহায্য করেছি।’ এর পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক  রত্নার বিরুদ্ধে লোকজন  নিয়ে এসে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও করেছেন বৈশাখী। শোভন-বান্ধবী বলেন, ‘উনি  আদালত চত্বরে লোকজন নিয়ে এসেছিলেন। সাক্ষ্য দেওয়ার আগে ভয় দেখানোর  চেষ্টা হয়। কিন্তু আমি সত্যের সঙ্গে আছি। আমি যদি বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকি তাহলে নিশ্চয়ই ঈশ্বর রক্ষা করবেন।’ এর প্রতু৬ রত্না বলেন, ‘ওঁর সঙ্গে কলকাতা পুলিশের গার্ড আছে, বাউন্সার রাখেন। আমি এমএলএ । আমি সিকিউরিটি ছাড়া ঘুরি। আমি যদি কলকাতা পুলিশ ও বাউন্সারদের ভয় দেখাতে পারি তাহলে তো আমার থেকে বড় মস্তান কলকাতা শহরে আর নেই!’ রত্না আরও বলেন, ওঁদের নিরাপত্তাবলয়ের যা বহর তাতে তিনিই ভয়ে ভয়ে থাকেন। তাই তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন।আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। 

Leave a Reply