কাকে টাকা দিয়ে চাকরি? জানালে ব্যবস্থা নিবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
পারিজাত মোল্লা,
, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কড়া বিচারপতি হিসাবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই তিনি শয়ে শয়ে দুর্নীতি যুক্ত চাকরি বাতিল ঘোষণা করেছেন।তিনি চান দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ডরা শাস্তি মিলুক।সেজন্যই হয়তো এদিন অন্য বার্তা দিলেন। যার রেশ আগামীদিনে আদালতে আছড়ে পড়তে বাধ্য।তারই সূচনা করলেন বৃহস্পতিবার দুপুরে এক মামলার শুনানি পর্বে।হ্যাঁ
চাকরি হারানোদের উদ্দেশে বিচারপতির পরামর্শ ,-‘ টাকা ফেরত পেতে চাইলে আমাকে জানাতে পারেন ‘।অর্থাৎ ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে তথ্য, সুত্র দিলে তা তদন্তকারী সংস্থা এই বিধ মামলায় আরও প্রমাণ তুলে দিতে পারবে আদালতের কাছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের আইনের ফাক দিয়ে বার হওয়া কঠিনতর হয়ে উঠতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনে মামলার শুনানি চলে। এর আগে ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত বলেছিল, এঁদের বক্তব্য হাইকোর্টকে আবার শুনতে হবে। সেই মতো ২৬৮ জনকে হলফনামা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গত বুধবার ১৪৩ জনের চাকরি বাতিল নিশ্চিত করেন বিচারপতি।এদিন বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তারপরেই চাকরি হারানোদের আইনজীবীদের উদ্দেশে তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, -‘ আপনাদের মক্কেলরা যে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল আপনারা জানেন? কাকে টাকা দিয়েছিল চাকরি পাওয়ার জন্য ? সে কথা আপনাদের বলেছে? তারা কি টাকা ফেরত পেতে চায়? প্রয়োজনে আমাকে জানাতে পারেন।’ আর এতেই চাঞ্চল্য পড়ে যায় এজলাস জুড়ে। কেননা বিচারপতির এহেন বার্তা বরখাস্ত শিক্ষকদের একাংশ সাড়া দিলে তাতে চাপ আরও বাড়বে দুর্নীতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছিলেন, -‘ ধেড়ে ইঁদুরকে খুঁজে বের করতে হবে’। তবে সে ব্যাপারে কারও নাম করেননি তিনি।