বিশ্বভারতীর মামলায় আগেকার নির্দেশিকা বহাল রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট
পারিজাত মোল্লা ,
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এর মামলায় আগেকার নির্দেশিকা বহাল রাখলো। বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যকে কলকাতা হাইকোর্টের আগেকার নির্দেশ দ্রুত কার্যকর করতে বলল সিঙ্গেল বেঞ্চ। গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ দিয়েছিলেন,-‘ উপাচার্যের বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও মঞ্চ তৈরি করা যাবে না। কোনও ভাবেই তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবে না। আন্দোলনের জেরে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন বিঘ্নিত না হয়। তেমনটা হলে পুলিশকে ব্যাবস্থা নিতে হবে’।সোমবার সেই নির্দেশই কার্যকর করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী মামলাটি ব্যক্তিগত ভাবেই করেছেন। তবে হাইকোর্টে সেই মামলা সই করেছেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার। এটা কি ভাবে সম্ভব? সেই প্রশ্ন তুলে মামলা খারিজের আবেদনও করা হয়েছিল। অন্যদিকে, হাইকোর্টে পুলিশের দাবি, -‘১৩ জন পুলিশ কর্মী তাঁর ব্যাক্তিগত নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে’। হাইকোর্ট পুলিশের দাবি মানতে নারাজ। আদালতের বক্তব্য,-‘ কত জন পুলিশ দেওয়া হয়েছে সেটা বড় কথা নয়, তারা কতটা সত্ ভাবে আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করতে প্রস্তুত সেটাই বড় কথা। এই বিষয়টি রাজ্যকে মাথায় রাখতে হবে’। তিন সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে। তার আগে রাজ্য ও মামলার অন্যান্যদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফে ।এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে বলেন,- “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আদালতে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ ২৩ নভেম্বর অফিসে ঢিল ছোঁড়া হয়। পুলিশকে জানানোর পরেও কোন কাজ হয়নি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ব্যানার, পোস্টার সরিয়ে ফেলা এবং তিনজন পুলিশকর্মীর নিরাপত্তার কাজ দেখভালের নির্দেশ দেন। তা সত্ত্বেও সেন্ট্রাল লাইব্রেরির বাইরে ধরনা চলছে। ঘেরাও উঠেছে শনিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধরনা চলছে। আদালত অবমাননার মামলা করেননি কেন?” উপাচার্যের আইনজীবী আদালতে বলেন,- “এরা আলাদা আন্দোলনকারী সে কারণেই অবমাননার মামলা করা হয়নি।” এরপর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়ে দেন, -‘ আগেকার নির্দেশ বহাল থাকবে, পুলিশ কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ‘। তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।