সেখ সামসুদ্দিন, ২৫ নভেম্বরঃ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে অসহায় এক মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান। কালারাঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপুজো উদ্বোধনের দিন মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান। সেই জায়গাতেই একটি ঝুপড়ির মধ্যে বসবাস করছিল প্রসূতি এক অসহায় মহিলা। স্থানীয় ব্যবসায়ীগণ তার কাছে আবেদন রাখেন সেই প্রসূতি মায়ের দেখভালের জন্য। যদিও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রাথমিকভাবে তার চিকিৎসার এবং খাবার ব্যবস্থা করেছিলেন। ঘটনার কথা শুনেই সাথে সাথেই তিনি সেই প্রসূতি মা শকুন্তলা দেবীকে দেখতে যান। এবং সেই দিন থেকেই তার খাবারদাবার ও চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিজে তুলে নেন। প্রথমেই তিনি তাঁকে সেই অস্বাস্থ্যকর জায়গা থেকে সরিয়ে ভালো জায়গায় নিয়ে আসেন। নিয়মিত চিকিৎসা করানো, উপযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করেন। বাচ্চা প্রসবের সময় তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় গ্রামীণ চিকিৎসক রাশেদ আলী হালদারকে দিয়ে বর্ধমান হাসপাতালে পাঠান এবং সেই প্রসূতি মা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বাচ্চার মুখ দেখে তিনি তার নামকরণ করেন শুভদীপ। আজ সেই মহিলাকে তিনি আজ নিজের দায়িত্বে ও জামালপুর থানার ইন্সপেক্টর রাকেশ সিং,বিডিও শুভঙ্কর মজুমদারের সাহায্যে নিয়ে নতুন ঘরে গৃহপ্রবেশ করালেন।শুধু তাই নয় সংসার করার প্রয়োজনীয় সব জিনিস, রান্নার উপকরণ, চাল, মুদিখানা, সবজির বাজারও করে দেন যাতে কোনো অসুবিধে না পড়তে হয়। উপস্থিত ছিলেন জামালপুর থানার সেকেন্ড অফিসার তাপস শীল, জামালপুরের জয়েন্ট বিডিও অরিন্দম চন্দ, ডাক্তার রাশেদ আলী হালদার, বাচ্চু মাঝি, মনোজ কাপাসি, মিঠু পাল, মানিক খোরট সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান সহ ব্লক প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান শকুন্তলা দেবীর পরিবার।