কুচিনা ফাউন্ডেশন সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের সামগ্রিক সমাধান প্রদান অব্যাহত রাখবে যাতে সাম্য দুনিয়ার জন্য তাদের মধ্যে আরও উত্থান সম্ভব হয়
বাংলার খবরাখবর নিউজ নেটওয়ার্ক : কলকাতা, ২০ নভেম্বর, ২০২২: তৃণমূল স্তরে মহিলাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নিজেদের দায়বদ্ধতাকে পুনর্ব্যক্ত করে, কুচিনা হোম মেকার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সিএসআর শাখা, কুচিনা ফাউন্ডেশন বছরের ভিত্তিতে মহিলাদের মধ্যে সামাজিক উদ্যোগীদের সক্ষমতা তৈরি করার কর্মসূচি নিয়েছে। কুচিনা ফাউন্ডেশন (কেএফ) হল কলকাতা ভিত্তিক একটি কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন সংস্থা যারা সারা ভারত জুড়ে নির্বাচিত মহিলা সামাজিক উদ্যোগী, যারা প্রান্তিক পটভূমি থেকে উঠে আসছে, তাদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রচার করার কাজে নিজেদের নিযুক্ত রেখেছে।
২০১৪ সাল থেকে কুচিনা কৃত্তিকা ফেলোশিপ প্রোগ্রামের অধীনে কুচিনা ফাউন্ডেশন ডিমাপুর থেকে জয়পুর পর্যন্ত সারা ভারত জুড়ে এই ধরনের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। কুচিনা ফাউন্ডেশনের বর্তমানে কুড়িজন কৃত্তিকা ফেলো রয়েছেন, যাঁরা উৎসাহের সঙ্গে এই ধরণের সহযোগিতা পেয়েছেন এবং তাঁরা প্রত্যক্ষভাবে এক লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগী এবং পরোক্ষভাবে প্রায় চার লক্ষ সুবিধাভোগীদের জীবনে প্রত্যক্ষভাবে পরিবর্তন এনেছেন। সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে, কুচিনা ফাউন্ডেশন ভারতের সমস্ত রাজ্যে, যেখানে কুচিনা রয়েছে সেখানে কুচিনা কৃত্তিকাদের তৈরি করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিন বছরের মধ্যে কুচিনা ফাউন্ডেশন ৫০জন কৃত্তিকা এবং ১০০জন কৃতি কন্যা গড়ে তুলতে চাইছে। এর মাধ্যমে, কুচিনা ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিভঙ্গি দুটি স্তরে প্রভাব ফেলবে — ভারতীয় মহিলাদের আরও শক্তিশালী করে তাদের নিজেদের জীবনে এবং সামগ্রিকভাবে তাদের মাধ্যমে গোটা ভারতকে শক্তিশালী করবে। কুচিনা ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে যে একটি সমৃদ্ধ দেশের জন্য সমৃদ্ধ ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত মহিলাদের প্রয়োজন।
কুচিনা ফাউন্ডেশনের অষ্টম বার্ষিক দিবস উদযাপন করে, কুচিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন শ্রী নমিত বাজোরিয়া বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের প্রধান অতিথি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন, সমাজকল্যাণ, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ড. শশী পাঁজা আজ আমাদের এই কর্মসূচিতে শারীরিক কারণে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় এই কাজের জন্য উৎসাহ প্রদান এবং পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা আমাদের মিশনের একটি মহান অনুপ্রেরণা এবং আমরাও সবসময় অনুপ্রেরণার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকি। আমাদের এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন আমাদের প্রিয় বন্ধু, কলকাতাস্থ ইউএস কনস্যুল জেনারেল মিসেস মেলিন্ডা পাভেক এবং কলকাতাস্থ ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার মিস্টার নিক লো এবং সেইসাথে চাইনিজ কনস্যুলেট জেনারেল ইন কলকাতা সি জে ঝা লিউ তাঁরা নিজেদের কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে আজ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আমরা তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
” তিনি আরও যোগ করেছেন, “কুচিনা ফাউন্ডেশন ডে পালিত হয়ে থাকে আমাদের ফাউন্ডেশনের কৃতিত্বগুলিকে তুলে ধরার জন্য, ইতিবাচক শক্তি এবং সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ যোগসূত্র, যা আমাদের আবদ্ধ করে থাকে, তার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। কুচিনা ফাউন্ডেশনের ব্যাপক সমর্থন এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কুচিনা ফাউন্ডেশন তাদের কৃত্তিকাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং এই বছর আমরা আমাদের বর্তমান সতেরোজনের সঙ্গে আরও তিনজন কৃত্তিকা যোগ করতে যাচ্ছি এবং আমরা তিন বছরের মধ্যে পঞ্চাশজন কৃত্তিকা এবং একশত কৃতি কন্যাকে ক্ষমতায়ন করার বিষয়ে প্রত্যাশা রাখছি।”
কুচিনা কৃত্তিকা সম্পর্কে:
কুচিনা কৃত্তিকা হল কুচিনা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অংশের মেধাবী মেয়ে শিশু এবং মহিলাদের চিহ্নিত করে, তাদের ক্ষমতায়ন করে পুরস্কৃত করা হয়। কুচিনা কৃত্তিকা একটি স্বতন্ত্র ফেলোশিপ প্রোগ্রাম যা একটি নির্বাচিত ক্ষেত্রে মহিলাদের এবং তাদের কার্যকলাপকে সাহায্য করে। কুচিনা ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রদত্ত সহায়তা পরিকাঠামোর মধ্যে রয়েছে তহবিল, সংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন, পরামর্শদান এবং নেটওয়ার্কিং। ফেলোশিপ প্রকল্প চালু করার জন্য একটি সিড ফান্ড প্রদান করে কুচিনা কৃত্তিকা। এটি সেই প্রকল্পগুলির ধারাবাহিকতা এবং স্কেল আপ করার জন্য তহবিল, সংস্থান এবং দক্ষতা সরবরাহ করে। কুচিনা ফাউন্ডেশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে ‘দক্ষতা অর্জনের জন্য শিক্ষাই ভবিষ্যতের জন্য অর্জন’।
কুচিনা ফাউন্ডেশন সম্পর্কে:
নমিত বাজোরিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কুচিনা ফাউন্ডেশন, প্রান্তিক মানুষদের জন্য সাহায্য করার প্রয়োজনের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা থেকেই তাদের কাজ শুরু করেছে। মিঃ বাজোরিয়া কুচিনা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পেশাদারদের নিয়ে তৈরি একটি টিমের সমর্থন পেয়েছেন। ২০০৭ সালে গঠিত হলেও, এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক, নমিত বাজোরিয়ার জনহিতকর কর্মকাণ্ড ২০০০ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এর আগে তাঁর সমর্থিত প্রকল্পগুলির মধ্যে ছিল আনন্দঘর, আত্মজা এবং আপনজন যা এইডস-পীড়িত দরিদ্র শিশু এবং মহিলাদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল। এই সমাজে মহিলারা সবচেয়ে বেশি শোষিত এবং সমাজে সুবিধাবঞ্চিত। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে কুচিনা ফাউন্ডেশন, অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল পথে মহিলাদের জন্য কৃত্তিকা এবং কৃতি কন্যার মত প্রকল্পের মাধ্যমে এই ধরনের মহিলাদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার চেষ্টা করে চলেছেন৷