ভারতে ৩ নভেম্বরের শেয়ার বাজারের হাল হকিকত:
পার্থপ্রতিম সেন (প্রাক্তন চেয়ারম্যান পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক)
আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ গতকাল ( ৩ নভেম্বর) আরও ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর উদ্দেশ্য। পরপর চারবার সুদের হার বাড়িয়ে ফেড রেট এখন চার শতাংশের কাছাকাছি, যা ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বেশি।
ফলে বিদেশের শেয়ার
বাজারগুলো গতকাল অপেক্ষাকৃত অনুজ্জ্বল ছিল।
এদিকে ভারতবর্ষে ৩০ টি শেয়ারের বিএসই সেনসেক্স ৬৯.৬৮ পয়েন্ট নীচে নেমে ৬০,৮৩৬.৪১ এ দাঁড়িয়েছে।
একইভাবে আমাদের দেশের ৫০ টি শেয়ারের এনএসই নিফটি ৩০.১৫ পয়েন্ট নীচে নেমে ১৮,০৫২.৭০ এ দাঁড়িয়েছে।
৩ নভেম্বর সেনসেক্সে থাকা যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে সেগুলো হল: স্টেট ব্যাঙ্ক, টাইটান, ভারতী এয়ারটেল, টাটা স্টীল, হিন্দুস্থান ইউনিলিভার, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক।
ঐদিন সেনসেক্সে থাকা যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, সেগুলো হল: টেক মহিন্দ্র, পাওয়ার গ্ৰিড, এনটিপিসি, ইনফোসিস, উইপ্রো, মহীন্দ্র এন্ড মহীন্দ্র এবং টিসিএস।
তবে মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ ইনডেক্স অল্প হলেও বেড়েছে।
বিএসই সেক্টরেল ইনডেক্সদের মধ্যে নেমে গেছে
ইউটিলিটিস, পাওয়ার, আইটি, টেক এবং কনসিউমার ডিসক্রিশনারি।
তবে বেড়েছে ব্যাঙ্ক, এনার্জি, এফএমসিজি, ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এবং রিয়েলিটি সেক্টরের ইনডেক্সগুলো।
ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধি, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্দার আশঙ্কা এইসব নেগেটিভ সেন্টিমেন্ট এবং খবরের জন্য বিদেশে ও দেশে ৩ নভেম্বর শেয়ার বাজারে পতন হয়। তবে ভারতের জন্য আশার কথা যে গত কয়েকদিন ধরে বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতের শেয়ার বাজারে লগ্নি করছে এবং ৩ নভেম্বরেও বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতের বাজারে নেট ক্রেতা ছিল। ঐদিন ওরা ৬৭৭.৬২ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। তাই ৩ নভেম্বর ভারতের শেয়ার বাজারে ধ্বস নামেনি। সেনসেক্স ও নিফটি খোলার সময় থেকে সামান্য নিচে নেমে বন্ধ হয়েছে।