Spread the love

জিটিএ নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপ গ্রহণ করবেনা আদালত,

বৈদূর্য ঘোষাল

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে আসন্ন জিটিএ নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপ গ্রহণ করবেনা আদালত। আগামী ২৬ সে জুন জিটিএ নির্বাচন রয়েছে । আগামী ২৯ সে জুন ভোটের ফল ঘোষণা। জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিন আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হলো, -‘জিটিএ ভোটের উপর কোনো হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট’।ভোটের ফল ঘোষণা নিয়েও কোনো বাধা থাকবে না।  আগামী রবিবার অর্থাৎ ২৬ সে জুন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন আইনি বাধাহীন বলেই জানাল হাইকোর্ট। বিচারপতি এদিন এজলাসে জানান, -‘ জিটিএ ভোটের ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা থাকবে না। তবে, জিটিএর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে বিস্তারিত শুনানি চলবে’। আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল, বাম আমলে সংবিধান সংশোধন করে পাহাড়ে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল তৈরি করা হয়েছিল। এরপর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি করা হয়।এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়েছিল সিঙ্গেল  বেঞ্চে। আর্জি জানানো হয়েছিল, ভোট হলেও ভোটের ফলাফল যেন ঘোষণা না হয়। আজ দু পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জানান, -‘ফলাফল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করার পরিস্থিতি নেই। নির্ঘণ্ট মেনে ভোট হবে, ফলাফল প্রকাশিত হবে। তবে, সাংবিধানিক বৈধতার যে প্রশ্ন মামলায় এসেছে, তার বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। তাই তার শুনানি চলবে’।

 পাহাড়ের রাজনৈতিক দল জিএনএলএফ জিটিএ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে  মামলা দায়ের করেছিল । কলকাতা হাইকোর্টে জিটিএ নির্বাচন মামলা শুনানি শেষ হয় বৃহস্পতিবার ।এই মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন  । এই  মামলার শুনানি শেষে রাজ্য এবং মামলাকারী জিএনএলএফ-এর তরফে নিজেদের বক্তব্য লিখিতভাবে দাখিল করে থাকে  আদালতে ।জিএনএলএফ জিটিএ নির্বাচনের  বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল । মামলাকারীদের দাবি, -‘ সংবিধান সংশোধন না করে এই নির্বাচন করা যায় না । সংবিধান সংশোধন না করেই রাজ্য সরকার ২০১১ সালে জিটিএ তৈরি করেছিল । এরফলে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অবৈধ হবে’ । তবে রাজ্যের এজি এজলাসে জানিয়েছিলেন -‘  ইতিমধ্যেই জিটিএ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে । পোস্টাল ভোট ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে । আদালতের কোনওভাবেই এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়’ । দুপক্ষের বক্তব্যের পর  রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত  ।মামলাকারী জিএনএলএফ-এর দাবি, -‘ গত ১৯৮৮  সালে দার্জিলিঙে গোর্খা হিল কাউন্সিল তৈরি করা হয় । সংবিধানে বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছিল । তবে রাজ্য সরকার ২০১১ সালে হঠাত্‍ করে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি করে । সংবিধান সংশোধন না করেই করা হয় এটা, যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক । এরফলে এই ভাবে জিটিএ নির্বাচন করা যায় না । অন্যদিকে রাজ্যের যুক্তি , -‘ সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনের মতই জিটিএ-এর নির্বাচন করার দায়িত্ব রাজ্যের । সেই মতই রাজ্য সরকার এই নির্বাচন করতে চলেছে । এতে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়’। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রায় ঘোষণায় জানানো হয়েছে -‘ জিটিএ নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপ গ্রহণ করবেনা আদালত ‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *