জন্মদাতা,
প্রসেনজিৎ কুন্ডু,
তুমি পিতা, তুমিই জনক, হে জন্মদাতা
আমার ক্ষুধার্ত উদারের তুমি অন্নদাতা।
তোমার চরণ তলে, আমার নত শির
আমার বিপদ মাঝে, তুমি বাঁধার প্রাচীর।
কখনো ক্ষুদ্র আমি বা ঘৃণ্য মস্তান
তুমি পিতা, তবুও আমি তোমার সন্তান।
জন্ম হতে যে রক্ত জমা, হৃদয়ে আমার
সে রক্ত আমার নয়, সে তো তোমার।
তোমার রক্ত-জলে বেঁচে আছে প্রাণ
তুমি বিধাতা, তুমিই মোর ভগবান।।
আমার ছোট্ট ছোট্ট ভুল মাতৃ স্নেহে জমা
তুমি বেতের আঘাতে তা করেছ ক্ষমা।
তুমি কেঁদেছ আমার দুঃখে এক চিত্তে
আমি শিখেছি সঠিক চলতে জীবন বৃত্তে।
সেই শিশু হতে জীবনের প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
হয়েছি বড় মাতৃদুগ্ধ আর তোমার ঋণে।
সাগরের বুকে রবি লুকায় যেমন সাঁঝে
সেভাবে থাকতে আমিও চাই, তোমারই মাঝে।
ভুলে যেতে চাই তোমার, শাসনের অভিমান
তুমি ঈশ্বর, তুমিই মোর ভগবান।।
কে বলেছে ? তুমি ছোট ! জননী বড়,
সেকি নিষ্ঠুর, নাকি নয় সে কারো।
জননী দিয়েছে গর্ভ, সয়েছে বাধক ব্যথা
সেই জননীর লাল সিঁথি, তোমার জীবনে গাঁথা।
পিতা তুমিই বড়, বলবে আমার কন্ঠস্বর
জননী কিভাবে বড়, জননীর তো তুমিই পরমেশ্বর।।