Spread the love

গোপাল দেবনাথ,

: কলকাতা, ১৫ জুন ২০২২। এক সন্ধ্যায় নানা আঙ্গিকে রবি ঠাকুর। দর্পনীর পঁচিশ বছর হলো আর সেই উদযাপনেরই রেশ টেনে টুকরো, টুকরো রবীন্দ্র সৃষ্টির কোলাজে এক সন্ধ্যা সাজালেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী অর্ণব বন্দোপাধ্যায়। গত ১০ জুন রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত হলো এই বিশেষ অনুষ্ঠান। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটির নিবেদনে ছিল খুকুমণি সিন্দুর-আলতা, সহযোগিতায় সঙ্গীত নাটক আকাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রক, ভারত সরকার।

এই সন্ধ্যায় তিনটে ভিন্ন স্বাদের নিবেদন নিয়ে হাজির দর্পনীর ছাত্র-ছাত্রীরা। গুরু অর্ণব বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের উপর আধারিত নৃত্য-গীতি আলেখ্য “চির সখা”। এই নিবেদন সহ দর্পনীর আড়াইশোর মতো ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। এর পরের নিবেদনে বিশিষ্ট কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায় এর একক নৃত্য পরিবেশনায় চন্ডালিকা। শিল্পী নিজের একার প্রচেষ্টায় নিবেদন করলেন এই নৃত্যনাট্য। সব শেষে চৈতালি দাশগুপ্তের রচনায় নৃত্য-গীতি আলেখ্য “মোন মোর মেঘের সঙ্গী”। রবীন্দ্রনাথের বর্ষা ঋতুর গানের সাথে নৃত্য পরিবেশনা। এই বিশেষ নিবেদনে সংগীত পরিবেশন করেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, জয়তী চক্রবর্তী, নৃত্যে অর্ণব বন্দোপাধ্যায়, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, সৌমিলি বিশ্বাস, এছাড়াও দর্পনীর ছাত্রীরা। ভাষ্যে চৈতালি দাশগুপ্ত, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। বর্ষা বন্দনার এই আয়োজনে এ যেন চাঁদের হাট। অর্ণব বন্দোপাধ্যায় বললেন,” করোনার জন্য দীর্ঘদিন এত বড় আয়োজন করে কিছু করতে পারছিলাম না। এটা একটা ফেস্টিভ্যাল এর মতো, একই সন্ধ্যায় নানা রকমের নৃত্যের আয়োজন। স্ট্রিং- বিডিং দ্যা ফ্রিন্জেস এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এক সন্ধ্যায় আমারা রবীন্দ্র সৃষ্টির একটা কোলাজ নিবেদন করেছি।” অরিত্র রায়চৌধুরী, ডিরেক্টর, খুকুমণি- সিন্দুর ও আলতা, বললেন,” বাংলার সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে চর্চা করা আমাদের সংস্থার এক ভালো লাগার যায়গা। আমাদের সিঁদুর, আলতা যেমন বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে জড়িয়ে রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথের গান, সৃষ্টি ঠিক তেমনই আমাদের পথ চলার পাথেয় হয়ে গেছে। আমি আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে অর্ণব বন্দোপাধ্যায় সহ এই আয়োজনের নেপথ্যে থাকা সব গুণীজনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *