হাওড়া কান্ডে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে গ্রেপ্তার, বিরোধী দলনেতা কে আটকানো, মামলা হাইকোর্টে
মোল্লা জসিমউদ্দিন , ১৩ জুন,
সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে রাস্তায় আটকানো এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কে গ্রেপ্তার করা নিয়ে মামলা গৃহীত হলো। হাওড়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বিজেপির দুই নেতাকে। মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে । পাশাপাশি , গত শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে পুলিশ। এই দুই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করার অনুমতি চেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী।এদিন এই আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার। মামলা করার অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে আর্জি রেখেছিলেন আদিত্য মণ্ডল নামে এক আইনজীবী । সম্প্রতি বিজেপির এক জাতীয় মুখপাত্রের বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত গোটা দেশ।যদিও ওই মুখপাত্র কে সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব । উত্তপ্ত রয়েছে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল হাওড়ায়। উলুবেড়িয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে হাওড়ার বেশ কয়েকটি এলাকা। অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি । গত শনিবার সেই পার্টি অফিসে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। অপরদিকে রবিবার একই কারণে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও যেতে চেয়েছিলেন সেখানে।হাওড়ার অশান্তি ছড়িয়ে পড়া এলাকায় যাওয়ার জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিউটাউনের বাড়িতে বেরোতেই পুলিশ আটকায় সুকান্ত মজুমদারকে। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই বিজেপির সভাপতি গাড়ি করে রওনা দেন হাওড়ার উদ্দেশে। মাঝপথেই সুকান্ত মজুমদার এর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখন পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। গত রবিবার একইভাবে কাঁথি থেকে হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । তবে পুলিশ হাওড়ায় যেতে দেয়নি শুভেন্দুকেও। নন্দীগ্রামে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর শুভেন্দু হাওড়া না গিয়ে কলকাতায় এসে প্রতিবাদে যোগ দেন শুভেন্দু ।রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদীকেও চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা । এবার এই দুই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে এই মামলা গ্রহণ হয়।খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।